ফাইল চিত্র
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, ততই অস্বস্তি বাড়ছে মেঘালয় তৃণমূলে। কারণ মেঘালয়ে তৃণমূলের প্রচার ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশান্তের সংগঠন আই প্যাক। প্রশান্তের ডাকে সাড়া দিয়েই কংগ্রেস ত্যাগ করে ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল সাংমা। কিন্তু কংগ্রেস সেই প্রশান্তকেই উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করতে চাইছে। শোনা যাচ্ছে পরের বছর ভোট হতে চলা রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের হয়ে জমি মজবুত করার ভার দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্তকেই। তার মধ্যে আছে মেঘালয়ও।
এই পরিস্থিতিতে মেঘালয়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পিংরোপ জানান, একই সঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জন্য কাজ করতে পারে না প্রশান্তের দল। কারণ, পরের বছর ভোটে তৃণমূলকে জেতানোর ভার নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ চালাচ্ছে তারা। অবশ্য বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি ও এনপিপি নেতৃত্বাধীন জোটকে টক্কর দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি নেই তৃণমূলের। মেঘালয়ে বাকি পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক দলে থেকেই এনপিপি-র নেতৃত্বাধীন শাসকজোটকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-বিরোধী সব দলকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন। একই ডাক দিয়েছেন সনিয়া গান্ধীও। চার্লস পিংরোপ জানান, মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে কি না— সে ব্যাপারে হাইকমান্ডই সিদ্ধান্ত নেবেন। তার পরেই আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাঁর মতে, বর্তমানে মেঘালয়ে কংগ্রেসের হাতে ক্ষমতা না থাকলেও তারা সর্বভারতীয় দল। তৃণমূল রাজ্যে যোগ বিকল্পের শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়। তাই বিজেপি বিরোধী সকলকে জোট বাঁধতে হবে। এনপিপি দাবি করছে তৃণমূলের চার বিধায়ক-সহ রাজ্যের ১১ জন বিধায়ক এনপিপিতে যোগ দিয়ে পরের বছর এনপিপি-র হয়ে ভোট লড়তে তৈরি। চার্লস বলেন, আমাদের ১২ জন বিধায়কের কেউ দল ছাড়ছেন না। এনপিপি ভিত্তিহীন কথা না বলে, নাম প্রকাশ করুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy