Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
Anti BJP Alliance

দুই দলের ‘তিক্ততা’র জের! সংসদের চলতি অধিবেশনে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে ফের ‘অনীহা’ তৃণমূলের

গত শীতকালীন অধিবেশনে ‘ইন্ডিয়া’ শরিকদের সুসম্পর্কের ছবি দেখা গিয়েছিল সংসদের উভয় কক্ষে। কিন্তু আসন বণ্টনে কংগ্রেসের ‘গড়িমসি’, মমতার ‘একলা চলো’ নীতির প্রভাব সম্ভবত পড়তে চলেছে সংসদে।

Mamata Banerjee.

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৭
Share: Save:

ইঙ্গিত ছিল আগেই। কংগ্রেস ও তৃণমূলের তিক্ততার জের সংসদে বিরোধীদের কক্ষ সমন্বয়েও সম্ভবত পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর, সংসদের চলতি অধিবেশনে কংগ্রেসের ডাকা কোনও ধরনের বৈঠকে আপাতত না যাওয়ার পক্ষপাতী তৃণমূল নেতৃত্ব। তেমন বার্তাই কলকাতা থেকে দেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘‘আগে কংগ্রেস ডাকুক। তার পরে বৈঠকে যাওয়া-না যাওয়া ঠিক হবে।’’

অথচ, গত শীতকালীন অধিবেশনে ‘ইন্ডিয়া’ শরিকদের সুসম্পর্কের ছবি দেখা গিয়েছিল সংসদের উভয় কক্ষে। কিন্তু আসন বণ্টনের প্রশ্নে কংগ্রেসের ‘গড়িমসি’, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘একলা চলো’ নীতির প্রভাব সম্ভবত পড়তে চলেছে সংসদেও। সূত্রের মতে, আপাতত কংগ্রেসের ডাকা যে কোনও বৈঠকই এড়িয়ে যাওয়ার নীতি নিয়ে এগোতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে সংসদের অধিবেশনগুলিতে ফি দিন সকালে বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে দেখা যেত কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা তথা দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে। ঠিক হত কক্ষ-সমন্বয়ের কৌশল। যাতে শরিক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেন তৃণমূল সাংসদেরা। কিন্তু এ বার তার উল্টো ছবি দেখা যেতে পারে।

আগামিকাল থেকেই শুরু হচ্ছে অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশন। তার আগে, আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। সেই বৈঠকে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে সরব হন সুদীপ। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বৈষম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সত্যাগ্রহে নামতে হচ্ছে।

অধিবেশনের আট দিনে কোন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা জানাতেই বৈঠক ডেকেছিল শাসক শিবির। সেখানে তৃণমূলের পক্ষে ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ ও রাজ্যসভায় তৃণমূলের সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়।

কংগ্রেসের পরে দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে সুদীপ শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, এই সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কার্যত ভেঙে পড়ার দশা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলার পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন খাতে বাংলার প্রায় ১ লক্ষ ৭ কোটি টাকা কেন্দ্রের ঘরে আটকে রয়েছে।’’ এ নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনের সময়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে দরবার করেন মমতা। তৃণমূল সূত্রের দাবি, তাতেও কাজের কাজ হয়নি। অন্তর্বর্তী বাজেটে যাতে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ১০০ দিনের কাজের খাতে বরাদ্দ অর্থ মঞ্জুর করা হয়, তার আবেদন জানান সুদীপ। প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্পের বকেয়া টাকা দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্বর্তী বাজেটে রাখারও সুপারিশ করেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Congress TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy