নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরার উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূলে অনেক আশা তৈরি হলেও শূন্য হাতেই ফিরতে হল। চারটি আসনে মিলিয়ে চার হাজার ২৪৯ ভোট পেয়েছে বাংলার শাসকদল। তবে এই ফলকে সে ভাবে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘অল্প সময়, অল্প সামর্থ্য নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম। তার সঙ্গে ব্যাপক সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এটা যে উপনির্বাচন সেটাও মাথায় রাখতে হবে। তবে ফল যেমনই হোক ত্রিপুরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কথা অস্বীকার করা যাবে না।’’
গত ২৩ জুন ত্রিপুরার আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজনগরে ভোট হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিভিন্ন দলের মোট ২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও ছিলেন। তিনি অবশ্য বড়দোয়ালি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। প্রতিবেশী ত্রিপুরার দিকে আগে থেকেই নজর দিয়েছিল তৃণমূল। গত পুরভোটেও লড়াই করে। সেখানে কোথাও জয় না পেলেও এ বার চারটি আসনেই প্রার্থী দেয়। রাজ্যের অন্য নেতাদের পাশাপাশি অভিষেকও প্রচারে গিয়েছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ ফল পায়নি দল। কুণালের অভিযোগ, ‘‘ত্রিপুরার উদীয়মান শক্তি তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপিও এখানে তেমন শক্তিশালী ছিল না। সুতরাং, এই উপনির্বাচনের ফল দেখে ভবিষ্যতের কথা কিছুই বলা যাবে না।’’ ত্রিপুরায় তৃণমূলকে ঠেকাতে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেরা হাত মিলিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন কুণাল। একই সঙ্গে বলেন, ‘‘সবে ফল প্রকাশিত হয়েছে। দলের কোথায় কী ত্রুটি ছিল সেটা নিয়ে খুব তাড়াতাড়িই দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব পর্যালোচনা করবেন।’’
শুধু তৃণমূলই নয়, দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সিপিএম-সহ বামেরাও কোনও আসনে জয় পায়নি। তবে বামেরা ২০ শতাংশের উপরে ভোট পেয়েছে উপনির্বাচনে। তিনটি আসনেই জয়ী বিজেপি। তবে কংগ্রেস খাতা খুলেছে আগরতলা আসনে। জিতেছেন সুদীপ রায়বর্মণ। তবে এই ফলকে কংগ্রেসের জয় বলে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘সুদীপ রায়বর্মণ আসলে নির্দল প্রার্থী। ওই আসন থেকে অনেক বার জিতেছেন। কখনও কংগ্রেসের টিকিটে, কখনও বিজেপির টিকিটে।’’ প্রসঙ্গত ১৯৯৮ সাল থেকে আগরতলার বিধায়ক সুদীপ। তাঁর বাবা সুধীররঞ্জন বর্মণ ত্রিপুরায় কংগ্রস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বরাবর কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও সুদীপ ২০১৮ সালে বিজেপির টিকিটে জিতে বিপ্লব দেব সরকারের মন্ত্রী থেকেছেন। এখন বিজেপি ছেড়ে ফের কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেন।
ত্রিপুরায় ভাল ফলের আশা করে তৃণমূলের পর্যুদস্ত হওয়াকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। রাজ্যের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূলকে অভিনন্দন। নির্বাচনে তারা নোটাকে হারিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ত্রিপুরাবাসীর হয়ে তৃণমূলের কাছে কৃতজ্ঞতা। দল বেঁধে নেতারা ওখানে গিয়ে, থেকে রাজ্যের রাজস্ব বাড়িয়েছেন। আগামী দিনেও তাঁরা এই ভূমিকা নেবেন বলে আশা করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy