দেব-মিমি। ফাইল চিত্র।
প্রথাগত ভাবে দলীয় নেতৃত্ব তিন লাইনের হুইপ জারি করেননি ঠিকই। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে নির্দেশ ছিল, চলতি সপ্তাহে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের উপস্থিত থাকতে হবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে লড়াই করতে হবে অধিবেশন কক্ষে।
কিন্তু দেখা গেল, গত কাল রাতে লোকসভায় বিল পাশের ভোটাভুটির সময় ছ’জন তৃণমূল সাংসদ গরহাজির। যাঁরা ছিলেন না তাঁরা হলেন মিমি চক্রবর্তী, দেব অধিকারী, চৌধুরী মোহন জাটুয়া, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী এবং খলিলুর রহমান। দুপুরে বিলটি পেশের সময় যখন ভোটাভুটি হয়, তখন এঁদের পাশাপাশি দেখা যায়নি নুসরত জহান, এবং সাজদা আহমেদকেও।
সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন এই অনুপস্থিতি? নুসরত টুইট করে জানান, ‘‘মিমি চক্রবর্তী এবং দেব অধিকারী আমার এই দুই সতীর্থের পক্ষ থেকে জানাতে চাই যে, তাঁরা শ্যুটিং এ ব্যস্ত রয়েছেন। এটাও আমাদের বাড়তি দায়িত্বের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেট-এ তিনশোরও বেশি মানুষ থাকেন।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এই ‘বাড়তি দায়িত্ব’ নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকের নিজের নিজের কারণ রয়েছে। দলীয় অনুশাসন না মানার কোনও বিষয় নেই।’’ কী সেই কারণ? ডেরেকের বক্তব্য, ‘‘খলিলুর রহমানের গতকাল নিকটাত্মীয় বিয়োগ হয়েছে। তাঁর আসা সম্ভব ছিল না। শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁরা যে আসবেন না, তা আগে থেকেই স্থির ছিল। চৌধুরী মোহনের বয়স ৮৪। শরীরও সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। তাঁকে মধ্যরাত পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়নি। সাজদা আহমেদের উড়ান বিলম্বিত থাকার কারণে দুপুরে পৌঁছতে না পারলেও রাতে এসে ভোট দিয়েছেন।’’ মিমি এবং দেব কেন আসতে পারেননি, সে বিষয়ে নুসরতের মতো স্পষ্ট ধারণা নেই ডেরেকের। লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, অভিনয় সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য সংসদে গরহাজির ছিলেন এই দুই তারকা সাংসদ।
নুসরত জহানকে নিয়ে চলতি সংসদ অধিবেশনে চলছে বিতর্ক। এর আগে সংবিধান দিবসে তৃণমূল-সহ সমস্ত বিরোধীরা যখন বি আর অম্বেডকরের মূর্তির সামনে ধর্না দিচ্ছেন, বসিরহাটের এই সাংসদকে দেখা গিয়েছিল সেন্ট্রাল হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা শুনতে। গতকালও লোকসভায় বিল পেশ নিয়ে চাপানউতোর চলাকালীন নুসরতকে সাড়ে বারোটা নাগাদ দেখা যায় উঠে যেতে। এর পর বিল পেশ সংক্রান্ত ভোটাভুটির সময়ে তাঁকে আর দেখা যায়নি। রাতে অবশ্য বিল পাশ নিয়ে ভোটের সময় হাজির ছিলেন তিনি। ডেরেকের বক্তব্য, ‘‘সকালে বিল পেশের সময় যে ভোটাভুটি হবে, সেটা আগে থেকে ঠিক ছিল না। তা ছাড়া ওই ভোটাভুটি চেয়েছিলেন এসপি নেতা অখিলেশ। আমরা নই। ফলে ওই সময় না থাকা কোনও মারাত্মক অপরাধ নয়।’’ গোটা বিতর্কে ক্ষুব্ধ নুসরত নিজে বিষয়টি নিয়ে টুইট করে বলেছেন, ‘‘কেন মানুষ শুধু নেতিবাচক ভাবেই কথা বলে? যদি মানুষ নিজের চরকায় তেল দেয়, পৃথিবীটা বসবাসের পক্ষে অনেক কম বিরক্তিকর হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy