প্রতীকী ছবি।
নেত্রী সনিয়া গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা নিয়ে মঙ্গলবার পথে নামবে কংগ্রেস। পরে সংসদের বাদল অধিবেশনেও তারা অনিবার্য ভাবেই তোপ দেগে বলবে, সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অর্থ-কাণ্ডের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এখন এই ভাবে সংসদে সিবিআই-ইডি নিয়ে সরব হওয়া কার্যত অসম্ভব। আর তাই তৃণমূল চাইছে মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি-র মতো ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্ত বিষয়’কেই সামনে নিয়ে আসতে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে এসপি, ডিএমকে এবং আপ-এর সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে আলোচনা করেছেন তৃণমূলের সংসদীয় নেতৃত্ব। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তাদেরও অধিবেশনে ঝাঁপাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সম্মিলিত বিরোধী ঐক্যের ছবি তুলে ধরার জন্য আজ কিছুটা মরিয়া প্রয়াস চোখে পড়েছে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এবং আপ-সহ সম্মিলিত বিরোধী দল মূল্যবদ্ধি এবং খাদ্যপণ্যে জিএসটি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু মোদী সরকার একগুঁয়ে মনোভাব দেখাচ্ছে এবং আলোচনার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবাদ চলছে।’ পাশাপাশি কংগ্রেস আজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি লেখে, যাতে বিভিন্ন বিরোধী দলের সই ছিল। রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে তাঁর মর্যাদা অনুযায়ী আসন না দেওয়ার প্রতিবাদে এই চিঠি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই চিঠিটিও টুইট করে জয়রাম লিখে দেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই চিঠি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে জমা দেওয়া হয়েছে।’
সব মিলিয়ে কক্ষ সমন্বয়ের সফল ছবিটিকেই আজ তুলে ধরা হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বোঝাতে চাওয়া হয়েছে, তৃণমূলও রয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে। তৃণমূলের বক্তব্য, তাদের কৌশল অনুযায়ী লবিতে দাঁড়িয়ে কক্ষ সমন্বয় নিয়ে আলোচনা (রাজ্যসভায়) করতে সমস্যা নেই। বস্তুত সেটা সোমবার হয়েছেও। উপযাচক হয়ে রাজ্যসভার তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায় যথাক্রমে কংগ্রেস (প্রমোদ তিওয়ারি) ও আপ (রাঘব চাড্ডা)-এর সাংসদকে বলার জন্য ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’ সরবরাহও করেছেন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, দু’টি বিষয়ে কংগ্রেসের হাত তারা ধরবে না। প্রথমত, সকালে মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে তাঁর ডাকা বিরোধী দলের বৈঠকে তৃণমূল যাবে না। দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এসপি এবং আপ-ও এ ব্যাপারে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। তারাও লবিতে দাঁড়িয়ে ঘরোয়া ভাবে সমন্বয় সেরে নিতেই আগ্রহী। দ্বিতীয়ত, ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ চলতি অধিবেশনে তুলবে না তৃণমূল। এক নেতার কথায়, “মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি এবং পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকেই আমরা সংসদে তুলব।” তৃণমূলের দাবি, এ ব্যাপারে তারা পাশে পাবে ডিএমকে, আপ, এসপি, এনসিপি-কে।
মঙ্গলবার কংগ্রেস ব্যস্ত থাকবে সনিয়া গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরার বিষয়টি নিয়ে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় বিরোধিতার স্বর কিছুটা কমে যাবে। তৃণমূল এবং ডিএমকে আজ ঘরোয়া ভাবে আলোচনা করেছে মঙ্গলবারের কৌশল। ডিএমকে মনে করছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তাদেরও পৃথক ভাবে সরব হওয়া উচিত, যাতে মনে না হয় একমাত্র কংগ্রেসই এই নিয়ে সচেতন। পাশাপাশি তৃণমূল মঙ্গলবার সকালে বিজয় চকে মেঘালয়ের ৮ জন বিধায়কের উপস্থিতিতে সেই রাজ্যের সমস্যা নিয়ে ধর্না প্রদর্শন করবে। পরে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy