ফাইল চিত্র।
অধিবেশনের সব কাজ বন্ধ রেখে ‘দেশের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়’ চিহ্নিত করে আলোচনার জন্য সংসদে নোটিস দিল কংগ্রেস-সহ সাতটি বিরোধী দল। এই বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অভিযোগের মতো বিষয়ও। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অন্য বিরোধীদের মতো তৃণমূল কংগ্রেস কোনও নোটিস আজ জমা দেয়নি। এমনকি সিবিআই বা ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ‘অপপ্রয়োগ’ (যা তৃণমূলের সাম্প্রতিক কেন্দ্র-বিরোধিতার অন্যতম বিষয়) নিয়েও নয়।
বিরোধীদের মতে, রাজ্যসভা এবং লোকসভায় দেওয়া এই নোটিসগুলি যথাক্রমে চেয়ারম্যান এবং স্পিকার খারিজ করবেন, সেটি প্রত্যাশিতই ছিল। নোটিস না দিলেও অবশ্য রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। তথ্য তুলে ধরে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, গত ছ’বছরে বিরোধীদের দেওয়া কোনও নোটিসকে মান্য করে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেয়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু ওই সময়েও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ‘অপব্যবহার’ নিয়ে রাজ্যসভার ভিতরে আলাদা করে কিছু বলেননি তিনি।
গত কাল রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকা বিরোধী-সমন্বয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য খড়্গেকে বলেছিলেন, কী সিদ্ধান্ত হল তা তাঁদের জানিয়ে দিতে। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম বিরোধী বৈঠকে আপউপস্থিত থাকলেও, গত কাল যায়নি তারাও। কিন্তু আপও আজ কেন্দ্র-বিরোধী নোটিস দিয়েছে। কংগ্রেস রাজ্যসভা ও লোকসভায় চিনা সেনার অনুপ্রবেশ এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার ‘অপব্যবহার’ সংক্রান্ত নোটিস দিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে সৈয়দ নাসির হুসেন এবং প্রমোদ তিওয়ারি এই নোটিসটি জমা দেন। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাও কেন্দ্রীয় সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে নোটিস জমা দেয় রাজ্যসভায়। সেখানে বলা হয়, শুধু ‘অপপ্রয়োগ’ নয়, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য, কংগ্রেস থেকে সাংসদ-বিধায়ক ভাঙিয়ে নেওয়ার জন্যও সিবিআই এবং ইডি-র চাপকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
কেন তৃণমূল নোটিস দিল না, এই প্রশ্নের জবাবে আজ ডেরেক বলেন, “আমরা পরিকল্পনা মাফিক ইচ্ছে করেই কোনও নোটিস দিইনি। জানতামই যে, সব নোটিস খারিজ হবে। তখন উঠে আমরা সরকারের এই আচরণ নিয়ে বিশদে বলব।” তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এতে বার্তা আরও তীব্র ভাবে দেওয়া গিয়েছে। আজ রাজ্যসভায় উঠে দাঁড়িয়ে ডেরেক বলেন, “গত ছ’বছরে বিরোধীদের একটি বিষয়ও সরকার আলোচনা করতে দেয়নি। বিরোধীদের দেওয়া নোটিস অনুযায়ী শেষ যে তিনটি বিষয় আলোচনা করতে দিয়েছে এই সরকার, তার প্রথমটি ২০১৪ সালে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার উপরে আঘাত সংক্রান্ত। দ্বিতীয়টি ২০১৫ সালে, কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে। শেষটি নোট বাতিল নিয়ে, ২০১৬ সালে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy