Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Tripura Assembly

ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট-পর্বে শুরুতেই পিছিয়ে তৃণমূল, অর্ধেক আসনেও কি প্রার্থী দিতে পারবে?

রবিবার রাতে দলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় নজর দিলে দেখা যাবে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বাংলার শাসকদল। ত্রিপুরার ভোটে মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিন সোমবার।

TMC Flag.

ত্রিপুরা বিধানসভার ভোটে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৮
Share: Save:

ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। রবিবার রাতে দলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় নজর দিলে দেখা যাবে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বাংলার শাসকদল। সোমবার ত্রিপুরার ভোটে মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিন। তাই মনে করা হচ্ছে, ত্রিপুরার ভোটে আর কোনও আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না তৃণমূল। রবিবার সন্ধ্যায় আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠক করে ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রথম প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শীর্ষ নেতৃত্ব যাঁদের নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়েছেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করা হল। পরে বাদ বাকি তালিকা প্রকাশ করা হবে। বাকি তালিকা দলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে প্রকাশ করে দেওয়া হবে।’’ কিন্তু সব আসনে প্রার্থী দেওয়া গেল না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রাজীব পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘কোন দল খুব তাড়াতাড়ি প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে? আমাদের প্রার্থীরা আগামিকাল মনোনয়ন দাখিল করবেন।’’ প্রথম তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, অর্ধেক আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল।

কিন্তু সব আসনে কেন প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হল না? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। কারণ, ২০২১ সালের তৃতীয় বার বাংলা দখলের পর ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি মনোনিবেশ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একাধিক বার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভাই নয়, সেখানে পূর্ণ সময়ের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীবকে। সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবকেও নিয়োগ করা হয়েছিল ত্রিপুরায় তৃণমূলের জমি তৈরির কাজে। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ যে কিছু হয়নি, বোঝা গিয়েছে প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পরেই। শুক্রবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক, তা ছিল ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বড় ধাক্কা। আর তারপরেই অর্ধেক আসনে প্রার্থী না দিতে পেরে ধাক্কা খেলেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব, এমনটাই মনে করছে ত্রিপুরা রাজনীতির বৃত্তে থাকা একাংশ।

ত্রিপুরার ভোটে ৩০ জানুয়ারি সোমবার মনোনয়নের শেষদিন। ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরার বিধানসভায় ইতিমধ্যে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। শনিবারই নিজেদের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে শাসকদল বিজেপি। তার আগে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নিজ নিজ প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে। এই দৌড়ে সব থেকে পিছিয়ে থেকে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছে তৃণমূল। সোমবার তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করবেন। সম্প্রতি ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতৃত্ব কলকাতায় এসে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে যান। সেদিন বৈঠক শেষে পর্যবেক্ষক রাজীব জানিয়েছিলেন, এক আসনে একাধিক প্রার্থিপদের আবেদন জমা পড়েছে। শীর্ষ নেতৃত্ব সেই আবেদন খতিয়ে দেখার পরেই প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকের পর এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করতে পারেনি তৃণমূল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রেও রাজীবের বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা যায়নি।

অন্যদিকে, তৃণমূলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভোটের প্রচারে ২ দিনের জন্য ত্রিপুরা যাবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর আগরতলা যাওয়ার কথা। ওইদিন ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। পরদিন আগরতলা শহরে মমতার একটি রোড-শোয়ের কর্মসূচি রয়েছে। তাঁর সঙ্গে এই সফরে সঙ্গী হতে পারেন অভিষেক। রবিবার দক্ষিণ ত্রিপুরার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা দিলীপ চৌধুরী যোগদান করলেন তৃণমূলে। ত্রিপুরার ভোট ১৬ ফেব্রুয়ারি। ফলাফল ঘোষণা ২ মার্চ।

অন্য বিষয়গুলি:

Tripura Assembly TMC AITC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE