তৃণমূল প্রার্থীকে সুপারের দফতর থেকে বার করে দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল। দলের নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন সোমবার আগরতলা পুরসভায় তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী পান্না দেবকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ।’’
আগরতলা পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্নার অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে প্রচার করতে দিচ্ছে না। পোস্টার-ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। সোমবারও তাঁর প্রচারের সময় হামলা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানা অভিযোগ না নেওয়ায় সোমবার তিনি গিয়েছিলেন পুলিশ সুপারের দফতরে। কিন্তু অভিযোগ নেননি এসপি। উল্টে বিনা অনুমতিতে সরকারি দফতরে ঢোকার অভিযোগে পান্নাকে মহিলা পুলিশকর্মীরা চ্যাংদোলা করে বার করে দেন বলে অভিযোগ।
তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে নির্দেশ দিয়েছে। তবুও পুলিশ আমাদের প্রার্থীকে চ্যাংদোলা করে বার করে দিচ্ছে।’’ অন্য দিকে বিজেপি নেতা নবেন্দু ভট্টাচার্য সোমবার ত্রিপুরার পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আগাম সময় নিতে হয়। ওই নেত্রী তা করেননি। তা ছাড়া ওঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। এখন জামিনে রয়েছেন।’’
আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরসভা, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট ত্রিপুরায়। গণনা ২৮ নভেম্বর। আগরতলার ৫১টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমবাসা, মোহনপুর, উদয়পুর, রানিরবাজার, শান্তিরবাজার, বিশালগড় পুরসভা এবং জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েত দখল করেছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। আগরতলা-সহ মোট ২০টি পুর অঞ্চলের ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যএ ১১২টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। শাসক দলের সন্ত্রাসেই প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy