ফাইল চিত্র।
সুস্মিতা দেবকে ত্রিপুরায় দলের মুখ করার দিকে আরও এক ধাপ এগোল তৃণমূল কংগ্রেস। সাংগঠনিক কাজে আজ তাঁকে পাঠানো হল ত্রিপুরায়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম ত্রিপুরায় এলেন সুস্মিতা। প্রায় ১৫ দিনের সফর। শিলচর থেকে ট্রেনে আগরতলায় এসেছেন তিনি। জানিয়েছেন, দলকে আক্ষরিক অর্থেই তৃণমূল স্তরে মজবুত করতে আগামী কয়েক মাস ধরে অভিযান চালাবেন তাঁরা। আগরতলায় পৌঁছে সুস্মিতার দাবি, ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রসারের মঞ্চ তথা জমি কার্যত তৈরিই হয়ে রয়েছে।
সুস্মিতার যুক্তি, বিজেপি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেও সেগুলি পূরণ করেনি। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সব দেখেও বামেরা নিষ্ক্রিয়। অতীতে ক্ষমতায় থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর কংগ্রেসের তো সব বুথে কমিটিই নেই। দু’বছর ধরে এক সদস্যের প্রদেশ কমিটি!
মনে করা হচ্ছে, নিজেকে মাটির মানুষ হিসেবে তুলে ধরতেই অসমের শিলচর কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা আজ ট্রেনে আগরতলায় এসেছেন। দলের মহিলা কর্মীরা তাঁকে স্টেশনে স্বাগত জানান। সন্তোষমোহন দেবের কন্যা বললেন, “সকলের সঙ্গে মিশতে চাই, সকলের কথা জানতে চাই। ২০২৩-এ ত্রিপুরা জিততে চাই৷ এটা তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ।” ১৫ দিনে সুস্মিতা ঘুরবেন ৮টি জেলার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে।
বুধবার সকালেই ফের আগরতলায় পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে এসেছেন তৃণমূলের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে ব্রাত্য বলেন, “বিজেপির অনেক বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনেকের সঙ্গে কথা চলছে। তাঁদের মধ্যে কাকে নেওয়া হবে বা হবে না, দলীয় নেতৃত্ব তা ঠিক করবেন। বিজেপি আর কয়েক মাস রয়েছে ত্রিপুরায়।”
ব্রাত্য ও সুস্মিতা এ দিন সন্ধেয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত সুধীররঞ্জন মজুমদারের বাড়িতে যান। কথা বলেন তাঁর স্ত্রী মিলনপ্রভা মজুমদারের সঙ্গে। বিজেপির হামলায় আহত মুজিবুর ইসলাম মজুমদারের বাড়িতেও যান ব্রাত্য-সুস্মিতা। দু’দিন আগে তাঁর বাড়িতে বিজেপি হামলা করে বলে অভিযোগ। তাতে তাঁর হাত ভেঙে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হবে। ব্রাত্য বলেন, “তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপ নিতে পারছে না বিজেপি। তাই হামলা করছে। আজ সুস্মিতা এসেছেন। আগামী দিনে আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” একটি সূত্রের খবর, অভিষেক শীঘ্রই আগরতলায় আসতে পারেন। দলের তরফে সফরের কথা চূড়ান্ত করা হয়নি। আগরতলায় তৃণমূলের প্রথম কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে পারেন তিনি।
তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলা থেকে তাদের নেতানেত্রীরা এলে অনেক হোটেল ঘর দিচ্ছে না। থাকতে দিলেও রেস্তরাঁয় রাজনৈতিক আলোচনা চলবে না বলে ফরমান দিচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে দফায় দফায়। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির হুমকিতে এ সব হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy