শাবকের সঙ্গে বাঘিনী অবনী।
জঙ্গলের মধ্যে অন্য একটি বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হল মহারাষ্ট্রের বাঘিনী অবনীর মেয়ে শাবকের। মানুষখেকো ঘোষণা করার পরে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে গুলি করে মারা হয়েছিল অবনীকে। এই ঘটনার ২ বছর পরে তার শাবককে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভে ছাড়া হয়। জঙ্গলে ছাড়ার ৮ দিনের মাথায় মৃত্যু হল ওই শাবকের।
৫ মার্চ অবনীর ৩ বছর ২ মাস বয়সি শাবক পিটিআরএফ-৮৪ কে ছাড়া হয় জঙ্গলে। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের চিফ কনজার্ভেটর অফ ফরেস্টস অ্যান্ড ফিল্ড ডিরেক্টর রবিকিরণ গোভেকর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জঙ্গলে ছাড়ার আগে ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের সাহায্যে শাবকের গলায় রেডিও-কলার লাগানো হয়েছিল। সেই রেডিও কলারের সাহায্যে শাবকের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮ মার্চ জঙ্গলের মধ্যে অন্য একটি বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে গুরুতর আহত হয় ওই শাবক। তার সামনের ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের তিত্রালমাঙ্গির একটি ইন-সিটু খাঁচার মধ্যে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। শনিবার সন্ধ্যায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নাগপুরে একটি পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটির নিয়ম অনুযায়ী অবনীর শাবকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।
অবনীর মৃত্যুর পরে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর তার শাবককে উদ্ধার করে পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৫.১১ হেক্টর ইন-সিটু খাঁচার মধ্যে ২ বছর ধরে ছিল সে। তার পরে এক বিশেষজ্ঞ দল তাকে পরীক্ষা করে জানায় যে, জঙ্গলে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ তৈরি অবনীর শাবক। তার পরেই তাকে ছাড়ার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটির কাছে। অনুমতি পাওয়ার পরেই তা কার্যকর হয়।
মহারাষ্ট্রে ১৩ জনকে মেরে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল অবনীর বিরুদ্ধে। তাই বন দফতরের নির্দেশে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ইয়াবতমল জেলায় গুলি করে মারা হয় তাকে। তার পরেই তার শাবককে উদ্ধার করে এনে রাখা হয়েছিল। এবার মৃত্যু হল সেই শাবকেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy