মণিপুরে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি: পিটিআই।
মণিপুরের জিরিবামে সোমবার সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই হয়। তার পর থেকে সেখানে তিন মহিলা এবং তিন শিশু নিখোঁজ বলে মঙ্গলবার দাবি করল মণিপুর পুলিশ। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, ওই এনকাউন্টারে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইম্ফলে সাংবাদিক বৈঠক করে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সোমবার মণিপুরের জিরিবামের যে এলাকায় এনকাউন্টার হয়েছিল, সেখান থেকে মোট ১৩ জন নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তাঁদের মধ্যে দু’জনের দেহ মেলে। পাঁচ জনের খোঁজ মেলে এবং ছ’জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘নিখোঁজ তিন মহিলা এবং তিন শিশুর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুলি ছুটে এলে পাল্টা গুলি চালাবে আসাম রাইফেলস, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), সিআরপিএফ।’’
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবারের ঘটনার পর যে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা মেইতেই সম্প্রদায়ের। দু’জনেই বৃদ্ধ। একটি দগ্ধ বাড়ি থেকে ওই দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ওই বাড়িতে আগুন দিয়েছিলেন কুকি জঙ্গিরা।
সোমবার অসম সীমানা লাগোয়া জিরিবাম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের শিবিরে হামলা এক দল চালায় বলে অভিযোগ। সিআরপিএফ পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীদের ১০ জন নিহত হন। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, নিহতেরা সকলেই কুকি জঙ্গি। তাঁদের ছোড়া গুলিতে সিআরপিএফের এক জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি অসমের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। সোমবার রাতে গুলির লড়াই চলেছে পশ্চিম ইম্ফলেও। সেখানে কুকি জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছেন দু’জন। সোমবার জিরিবামে হামলার ঘটনার পর এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। মঙ্গলবারও ওই জেলার বেশ কিছু এলাকায় কার্ফু জারি রয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হারানো ছ’জনের খোঁজ চালাচ্ছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy