মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকে নিয়ে কৌতুকের পর কুণাল কামরার অস্বস্তি আরও খানিকটা বাড়ল শনিবার। মুম্বইয়ের খার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী সোমবার তাঁর মুম্বই পুলিশের সামনে হাজির হওয়ার কথা। তার আগে শুক্রবারই মাদ্রাস হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন কৌতুকশিল্পী।
কিছু দিন আগে মুম্বইয়ের খার এলাকায় একটি হোটেলের কৌতুকানুষ্ঠানে শিন্দেকে নিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন কুণাল। তার পর তাঁর বিরুদ্ধে শিবসেনা বিধায়ক মুরজি পটেল খার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কুণালের বিরুদ্ধে এফআইআর করে মুম্বই পুলিশ। শনিবার আরও তিনটি অভিযোগ কুণালের বিরুদ্ধে জমা পড়ল। অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন জলগাঁও শহরের মেয়র, নাসিকের এক ব্যবসায়ী এবং এক হোটেল মালিক।
আরও পড়ুন:
শিন্দেকে নিয়ে বিদ্রুপের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর কুণালকে দু’বার সমন পাঠিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। মুম্বই পুলিশের কাছে সময় চেয়েছিলেন কুণাল। পুলিশ তাঁর আবেদন নাকচ করে দিয়ে জানায়, ৩১ মার্চের মধ্যে খার তাঁকে থানায় হাজির হতে হবে। এর পর কুণাল রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। মাদ্রাস হাই কোর্টে তাঁর আইনজীবী জানান, থানায় হাজিরা দিলে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কুণাল। তাই তাঁর রক্ষাকবচ প্রয়োজন। আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কুণাল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। শর্তসাপেক্ষে তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
কেন বিতর্কে কুণাল?
জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুর নকল করে তাতে নিজের মতো কথা বসিয়ে কৌতুকানুষ্ঠানে গেয়েছিলেন কুণাল। সেখানে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘গদ্দার’ বলার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারকেও কটাক্ষ করা হয়। নাম নেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের। অনুষ্ঠানের শেষে হাতে ভারতের সংবিধান নিয়ে কুণাল বলেছিলেন, ‘‘আমি যা করছি, এই সংবিধান আমাকে সেটা করার অনুমতি দিয়েছে।’’ কুণালের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই খারের ওই হোটেলে বিক্ষোভ দেখান শিবসেনা (শিন্দে) সমর্থকেরা। ভাঙচুর করা হয় হোটেলের চেয়ার, টেবিল। পুলিশ এই ঘটনায় একাধিক শিবসেনা সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল। পরে তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বিতর্ক থামেনি।