ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযানে ফের সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। মঙ্গলবার সকালে ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়া এবং বিজাপুর জেলার সীমানায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে খবর। গত পাঁচ দিনে এই নিয়ে তৃতীয় অভিযানে সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী।
ছত্তীসগঢ় পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে আগে থেকেই খবর ছিল, দান্তেওয়াড়া এবং বিজাপুর সীমানার জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছেন মাওবাদীরা। খবরের ভিত্তিতে এলাকায় চিরুনিতল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। সকাল ৮টা নাগাদ শুরু হয় দু’পক্ষে সংঘর্ষ। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে মাওবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করলে পাল্টা গুলি চালান তাঁরাও। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় অন্তত তিন মাওবাদীর। নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত নিহত তিন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি বন্দুক এবং বিস্ফোরকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন:
মাওবাদী দমনে এই নিয়ে গত পাঁচ দিনে তৃতীয় অভিযানে সাফল্য এল। ফলে চলতি বছরেই ‘এনকাউন্টারে’ নিহত মাওবাদীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৬। প্রসঙ্গত, বস্তারের অন্তর্গত বিজাপুর এবং কাঁকের জেলার অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে গত কয়েক মাসে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার, বিজাপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর গাড়ি আইইডি বিস্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মাওবাদীরা। যদিও অল্পের জন্য বেঁচে যান জওয়ানেরা। তবে এ পর্যন্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদীদের। গত বৃহস্পতিবার সকালেও বিজাপুর এবং কাঁকের জেলায় দু’টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর এক সদস্যেরও। এর আগে গত মাসেও বিজাপুরে সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছিলেন।