প্রতীকী ছবি।
কর্নাটকের অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। সেখানে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের সরকারে সঙ্কটের জন্য বিজেপির দিকেই আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। এর মধ্যেই বিজেপির হুঙ্কার, দু’মাসের মধ্যে কংগ্রেসের সরকার পড়ে যাবে মরু-রাজ্য রাজস্থানেও!
দিল্লি থেকে বিজেপির কোনও বড় নেতা নন, বরং রাজস্থানের বিজেপি বিধায়কদের দিয়েই এমন মন্তব্য করিয়ে চাপ বাড়ানো হল অশোক গহলৌত সরকারের উপর। রাজস্থানের তিন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহোটি, বাসুদেব দেবানানী এবং কালীচরণ সারফের বক্তব্য, “দু’মাসের মধ্যেই রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে। যে কোনও সময় সরকার পড়ে যেতে পারে। রাহুল গাঁধীর ইস্তফার পরেই রাজস্থানে কংগ্রেসের বিধায়কদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলটের মধ্যেও বিবাদ যে ভাবে চরমে পৌঁছেছে, তাতে এই সরকার বেশি দিন টিকবে না।”
রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্ব মানছেন, কর্নাটক ও গোয়ায় কংগ্রেস শিবিরে যে অস্থিরতা বিজেপি তৈরি করেছে, সেই অস্থিরতাই তারা তৈরি করতে চায় কমল নাথের মধ্যপ্রদেশ ও গহলৌতের রাজস্থানে। কমল নাথ ইতিমধ্যেই নিজের রাজ্যে বিধায়কদের পাশে রাখার কৌশল রচনা করেছেন। যে বিধায়করা দল ছেড়ে চলে যেতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে নিজে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি ৩-৪ জন বিধায়কের উপরে নজরদারি করার জন্য এক-এক জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সপা-বসপা এবং যে নির্দল বিধায়কদের সমর্থনে তাঁর সরকার চলছে, তাঁদেরও পাশে রাখতে মরিয়া কমল নাথ।
রাজস্থানে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন গহলৌতও। সম্প্রতি রাজ্যে বাজেট পেশ করে তিনি জানিয়েছেন, সব গ্রামবাসী তাঁকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য আসলে ছিল কংগ্রেসেরই প্রতিপক্ষ নেতা সচিন পাইলটের প্রতি কটাক্ষ।
পাইলটও তাই পাল্টা বলেছেন, “রাজস্থানের জনতা কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব দেখে ভোট দিয়েছেন।” বিজেপির বিধায়ক বাসুদেব বলেন, “আসলে অশোক গহলৌত নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। সে কারণেই তিনি দাবি করেছেন, সব গ্রামবাসী তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। যদি পরিস্থিতি এমনই হত, তা হলে নিজের বুথে কেন হেরে গেলেন তিনি?” অন্য বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহোটির বক্তব্য, কংগ্রেসে সব ঠিক নেই বলেই গহলৌতকে ঘন ঘন দিল্লি যেতে হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে পাইলটের বিবাদে সরকার যে কোনও সময় পড়ে যাবে। কংগ্রেসের নেতা প্রশান্ত বৈরওয়া বলেন, “বিজেপি আসলে ঘোড়া কেনাবেচার ছক কষছে। কিন্তু কংগ্রেস একজোট আছে।”
কিন্তু নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর যে ভাবে বিজেপি আগ্রাসী হয়ে বিভিন্ন অ-বিজেপি রাজ্যে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে, তার পরে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে সরকার কত দিন টিকবে, তা নিয়ে সংশয়ে আছে কংগ্রেসও। মধ্যপ্রদেশে ২৩১ আসনের সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৬। কিন্তু কংগ্রেসের এখন আছে ১১৪ জন। সরকার টিকে আছে ১ জন সপা, ২ জন বসপা ও ৪ নির্দলের সমর্থনে। রাজস্থানে দু’শো আসনের বিধানসভায় ১১২-য় দাঁড়িয়ে গহলৌত সরকার। কিন্তু লোকসভায় বিজেপির সাফল্য এবং গোয়া-কর্নাটক পর্বের পরে সেখানেও অনিশ্চয়তায় ভুগছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy