প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মেধা পটকর। ফাইল চিত্র
মঙ্গলবারই ধুমধাম করে সর্দার সরোবর বাঁধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন পালন হয়েছে। আর তার পরের দিনই সেই জন্মদিন পালন নিয়ে কটাক্ষ করলেন নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের অগ্রদূত সমাজকর্মী মেধা পাটকর। মোদীর জন্মদিন পালন সর্দার সরোবর বাঁধে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বললেন মেধা। বুধবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাঁধের জলের উচ্চতা বাড়িয়ে দেওয়ায় মধ্যপ্রদেশের তিন জেলার ১৯২টি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে। মোদীর জন্মদিন পালনের জন্য বেআইনি ভাবে ইচ্ছাকৃত জলের উচ্চতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ মেধার।
মঙ্গলবার ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৬৯তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সর্দার সরোবর বাঁধের উপর নির্মিত স্ট্যাচু অব ইউনিটি চত্বরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে বাঁধের বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সর্দার সরোবর বাঁধ তৈরির ফলে গুজরাত-সহ সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে সেচ, পানীয় জল, বিদ্যুতের প্রভূত উন্নতি হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে দাবি করেন মোদী।
কিন্তু মোদীর জন্মদিন পালনের আড়ম্বর নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সমাজকর্মী মেধা। তিনি বলেন,‘‘উৎসবের মেজাজে মোদীর জন্মদিন পালন হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের এখনও পুনর্বাসন বাকি। ১৭ সেপ্টেম্বর মোদীর জন্মদিন বলেই এই সময় বাঁধে (সর্দার সরোবর ড্যাম) জল আটকে উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে।’’
গুজরাতে বিজেপি শাসিত বিজয় রূপানি সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মেধা বলেন,‘‘রুপানি সরকার আগে জানিয়েছিল ১৫ অক্টোবর বাঁধ পরিপূর্ণ হবে। তার পর নতুন তারিখ ঘোষণা করে ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এখন মোদীর জন্মদিনের ঠিক আগেই বাঁধের জল পরিপূর্ণ। এতেই স্পষ্ট যে ওঁদের কাছে সংবিধানের কোনও অর্থ নেই। হাজার হাজার মানুষ ডুবে যাচ্ছে, অথচ শুধুমাত্র এক জনের জন্য বাঁধে জল পূর্ণ করে রাখা হল।"
আরও পডু়ন: রাজীবকে নিজেদের কব্জায় পেতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তুতিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে এল নতুন দল
আরও পড়ুন: ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা-শুনানি শেষ করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট
মেধার অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। গুজরাত সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য ১৮৫৭ কোটি টাকা পাবে মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তাতে গুরুত্বই দেননি।
গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নর্মদা নদীতে একাধিক বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হয় স্বাধীনতার পরে পরেই। সমীক্ষা, গবেষণার পর ১৯৬১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। সেই অনুযায়ী নর্মদা নদীর উপর গড়ে ওঠে একাধিক বাঁধ, যার মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম গুজরাতের নবগ্রামের কাছে সর্দার সরোবর ড্যাম। গুজরাত ছাড়াও বাকি তিন রাজ্যই এই বাঁধগুলি থেকে সেচের জল ও বিদ্যুত্ পায়। কিন্তু এই বাঁধ তৈরির জেরে দুই পাড়ের স্থানীয় আদিবাসী, দলিত ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বাবা আমটে এবং মেধা পাটকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy