—প্রতীকী ছবি।
তেরো বছরের ধর্ষিতা ও অর্ধনগ্ন মেয়েটি মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অভিযোগ, একাধিক দরজায় কড়া নাড়লেও মেলেনি সাহায্য। ঘটনাটি সামনে আসার পরে শিউরে উঠেছে দেশ। আজ মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ওই নির্যাতিতাকে যারা দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হবে।
উজ্জয়িনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ন্ত সিংহ রাঠৌর জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নির্যাতিতাকে সাহায্য না করায় ক্ষেত্রে অন্তত এক জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। পেশায় অটোরিকশা চালক ওই ব্যক্তির নাম রাকেশ মালবীয়। আরও কেউ যদি একই কাজ করে থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশ ওই নির্যাতিতাকে তাঁর অটোয় চাপিয়ে ঘুরিয়েছে। কিন্তু পুলিশকে খবর দেয়নি। অটোর আসনে রক্তের নমুনাও মিলেছে। বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে সাহায্য না করার যে অভিযোগ উঠেছে, গত কাল উজ্জয়িনীর পুলিশ কর্তা সচিন শর্মা অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। শুধু বাসিন্দারা নন, সমালোচনার মুখে পড়েছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের প্রশাসনও। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ জানিয়েছেন, অভিযুক্তের যাতে কঠোর শাস্তি হয় তা নিশ্চিত করা হবে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় তদন্তের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। অভিযুক্তের সমাজে স্থান নেই বলেও জানান শিবরাজ।
নির্যাতিতাকে মধ্যপ্রদেশের মেয়ে বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “নির্যাতিতার সমস্ত খেয়াল রাখা হবে। ও আমার মেয়ে, রাজ্যেরও।” যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি জমানায় মধ্যপ্রদেশে সুরক্ষিত নন মহিলারা। ভোটের আগে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। এ দিকে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর)-এর এক সদস্য হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখে আসার পরে জানিয়েছেন, ১২ বছরের ওই বালিকার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
তবে নির্যাতিতার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষিতে সাতনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবেশ সিংহ বঘেল আগেই জানিয়েছিলেন, স্কুলের পোশাকে বছর তেরোর একটি মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল সেখানকার জৈতওয়াড়া থানায়। মেয়েটি বিশেষ ভাবে সক্ষম। খোঁজ মিলেছে নির্যাতিতার বাবারও। তিনি জানিয়েছেন, রোজকার মতোই ২৪ সেপ্টেম্বর স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তাঁর মেয়ে। তার পরেই আর খোঁজ মিলছিল না। পর দিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা। হঠাৎই ভিডিয়োয় তিনি দেখতে পান, উজ্জয়িনীর রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে তার মেয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy