তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পৃথক জাতি হিসাবে চিহ্নিত করল বিহার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেশের শীর্ষ আদালত তাঁদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ স্বীকৃতি দিয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছিলেন, এই মানুষদের আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া হিসাবে গণ্য করে তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এ বার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পৃথক জাতি হিসাবে চিহ্নিত করল বিহার।
নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন সরকার আগামী ১৫ মে থেকে বিহার জুড়ে জাতভিত্তিক জনগণনা শুরু করতে চলছে। ১৫ মে পর্যন্ত চলবে গণনাপর্ব। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। প্রতিটি জনগোষ্ঠীকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হচ্ছে ওই জনগণনায়। যেমন ব্রাহ্মণদের মৈথিল, কান্যকুব্জ এবং অন্যান্য উপ-শ্রেণিগুলিকে ‘ব্রাহ্মণ’ নামে একটি একক সামাজিক সত্তায় চিহ্নিত করা হয়েছে। সাঙ্কেতিক নম্বর দেওয়া হয়েছে ১২৬। একই ভাবে রাজপুত ১৬৯, ভূমিহার ১৪২ এবং তৃতীয় লিঙ্গকে ২২ সংখ্যায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই সরকারি চাকরিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে ফেলেছে। কিন্তু কোথাও পৃথক জাতি হিসাবে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়নি। জাতপাতের রাজনীতির জন্য পরিচিত বিহারে সরকারি পর্যায়ে এই উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। লিঙ্গের পরিচয়কে জাতে রূপান্তরিত করার এই প্রচেষ্টাকে ‘অপরাধ’ বলে অভিযোগ তুলেছেন সমাজকর্মী রেশমা প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘পুরুষ ও নারীর নির্দিষ্ট জাতিগত পরিচয় থাকলে তৃতীয় লিঙ্গ কেন সেই সুযোগ পাবে না? অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চিঠি লিখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy