ইদের নমাজ। রবিবার শ্রীনগরে। পিটিআই
রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ তালাবন্দি দশা পেরিয়ে এসেছে উপত্যকা। ফের করোনা সতর্কতার জেরে জারি হয়েছে লকডাউন। এ নিয়ে দ্বিতীয় বার ইদে উৎসবের আঁচ নেই কাশ্মীরে।
আজ কাশ্মীর ও কেরলে পালিত হচ্ছে ইদ। আগামিকাল পালিত হবে বাকি দেশে। অন্য বার ইদে বিভিন্ন ইদগায় জড়ো হয়ে নমাজ পড়েন কাশ্মীরিরা। তার পরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে জানান ইদের শুভেচ্ছা। ফাটানো হয় বাজি। কয়েক বছর ধরে অবশ্য বাজি ফাটলে গ্রেনেড হামলার আতঙ্কেও ভুগেছেন অনেকে। তার পরে চলে একে অপরের বাড়িতে গিয়ে দেখা করার পর্ব।
সেইসঙ্গে বলা প্রয়োজন ইদের খাবারের কথাও। বেকারি সেজে ওঠে নানা ধরনের রুটি, কেক, প্যাস্ট্রিতে। তৈরি হয় গুস্তাবার মতো মাংসের নানা উপাদেয় পদ। গ্রামে গ্রামে মহিলাদের গলায় শোনা যায় কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী গান।
এ বারে দেখা গেল না কিছুই। প্রকাশ্যে জমায়েত হয়ে নমাজ পড়তে নিষেধ করেছিলেন সব মুসলিম ধর্মগুরুই। বন্ধ রয়েছে বেকারি, মাংসের দোকানও। বাড়ির মধ্যে বা বাগানেই নমাজ পড়েছেন বাসিন্দারা। গত বছরেও বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে জারি কার্ফুর জেরে প্রকাশ্যে জমায়েত হয়ে নমাজ পড়তে পারেননি কাশ্মীরিরা।
প্রায় একই চিত্র কেরলেও। বাড়িতেই নমাজ পড়েছেন বাসিন্দারা। করোনা সংক্রমণ রুখতে কেরলে প্রতি রবিবার সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। তবে এ বারে ইদের কথা মাথায় রেখে আজ অত্যাবশ্যক পণ্যের দোকানে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
দেশবাসীকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেছেন, ‘‘ইদ ভালবাসা, শান্তি, সৌভ্রাত্রের উৎসব। এই উৎসবে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণিকে রক্ষা করার শপথ নিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy