সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক পদে ২০২২-এর নিয়োগ প্যানেল নিয়ে অবশেষে জটিলতা কাটার সম্ভাবনা দেখা দিল। আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কত শূন্য পদ রয়েছে, কত জন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক পদে ১১,৭৬৫ শূন্যপদ রয়েছে। রাজ্য প্রশাসনও প্যানেল প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগ করতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে আগামী সোমবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে।
২০১৭ সালে যাঁরা টেট পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁরা ২০২১ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে টেট উত্তীর্ণদের এখনও নিয়োগ হয়নি। প্রথমে বিএড ডিগ্রিধারীদের প্রাথমিক শিক্ষক পদে বিবেচনা করা হবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা ছিল। সুপ্রিম কোর্ট গত বছরেই জানিয়ে দিয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা সুযোগ পাবেন না। এর পরে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সে সময়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য প্রশিক্ষণ বা ডিএলএড পাশ করার দরকার ছিল না। পরে তা বাধ্যতামূলক হওয়ায় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণেরা ২০২০ সালে ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হন। কিন্তু ২০২২-এর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে তাঁরা মার্কশিট হাতে পাননি। তাঁরা চাকরিতে সুযোগ পাবেন কি না, এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। এর ফলেই ২০২২-এর নিয়োগ প্যানেলে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল।
আজ ২০১৭-র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট-উত্তীর্ণ ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, দুই পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে দাবি তুলেছে, দ্রুত প্যানেল প্রকাশ করে নিয়োগ করা হোক। ২০১৭-র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট-উত্তীর্ণদের আইনজীবী সোমেশ ঘোষ বলেন, “৯ হাজার চাকরিপ্রার্থী গত ছয় বছর ধরে অপেক্ষা করে আছেন। আশা করছি, আগামী সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেবে।” সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, ২০২২-এ ডিএলএড প্রশিক্ষিতদের যদি পরে সুযোগ দেওয়া হয়, তা হলে কী ভাবে তাঁদের নিয়োগ করা হবে? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে শূন্য পদ তৈরি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy