—প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৯৫৩৩ জনকে নিয়োগে কোনও স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালে নিয়োগের পরে যে ৩৯২৯টি শূন্য পদ থেকে গিয়েছে, তা শুধুমাত্র ২০১৪-র টেট-উত্তীর্ণদের জন্যই সংরক্ষিত থাক। এই বিষয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি যে ৯৫৩৩জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে, তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। কিন্তু রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা তাতে আপত্তি তোলেন। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ স্থগিতাদেশে সম্মতি দেয়নি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে।
২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’বার নিয়োগ হয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানালেও ৩৯২৯টি শূন্য পদ থেকে গিয়েছিল। সেগুলি পরবর্তী কালে তৈরি হওয়া শূন্য পদের সঙ্গে যোগ হয়। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণেরা ওই ৩৯২৯টি শূন্য পদ শুধু তাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও পরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সায় দিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে পর্ষদ ও ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণেরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ২০২২-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১১,৭৬৫টি শূন্য পদ রয়েছে। তার মধ্যে ৯,৫৩৩ জন নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৭-র টেট-উত্তীর্ণদের আইনজীবী চিত্তপ্রিয় ঘোষ বলেন, ‘‘১১,৭৬৫টি শূন্য পদের মধ্যে আগের ৩,৯২৯টি শূন্য পদ যোগ হয়েছে। ওই পদে ২০১৪ ও ২০১৭-র টেট-উত্তীর্ণরাও সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু ২০১৪-র টেট-উত্তীর্ণরা ওই ৩৯২৯টি পদে শুধু তাদের অধিকার বলে দাবি করছেন। আমরা তাতে আপত্তি জানিয়েছি।’’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টেরই বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি ৯৫৩৩ জনকে নিয়োগের যে নির্দেশ দিয়েছে, মামলাকারীরা এখন তাতে স্থগিতাদেশ চাইছেন।’’ বিচারপতিরা যদিও নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy