Advertisement
E-Paper

‘আসল কথা হল গুড্ডু মুসলিম…’ সংবাদমাধ্যমের সামনে এটাই ছিল আতিকের শেষ কথা, তার পরই খুন

আতিক এবং আশরফের চারপাশে পুলিশকর্মীদের একটা নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছিল। হাসপাতালে ঢোকার আগে সাংবাদিকরা আতিককে প্রশ্ন করেছিলেন, পুত্র আসাদের শেষকৃত্যে যেতে পেরেছিলেন?

Atiq Ahmed

আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফ (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩৩
Share
Save

শারীরিক পরীক্ষার জন্য প্রয়াগরাজ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে। দু’জনকে কড়া পুলিশি পাহারায় নিয়ে আসা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিল সংবাদমাধ্যম। মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে ঢোকার আগে হাঁটতে হাঁটতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন আতিক। তখনও আঁচ করতে পারেননি ওই সাংবাদিকদের ভিড়েই লুকিয়ে রয়েছেন তাঁর হত্যাকারীরা।

আতিক এবং আশরফের চারপাশে পুলিশকর্মীদের একটা নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছিল। হাসপাতালে ঢোকার আগে সাংবাদিকরা আতিককে প্রশ্ন করেছিলেন, পুত্র আসাদের শেষকৃত্যে যেতে পেরেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আতিক বলেন, “ওরা (পুলিশ) আমাকে নিয়ে যায়নি, তাই যাওয়া হয়নি।” হাঁটতে হাঁটতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। মুখে ক্যামেরা ফ্ল্যাশ, আলোর ঝলকানি, আর সামনে বুম ধরে রেখেছিলেন সাংবাদিকরা। গুড্ডু মুসলিম নিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিলেন আতিক। শুধু এইটুকুই বলেন, “আসল কথা হল যে, গুড্ডু মুসলিম…।” আর তার পরই সাংবাদিকদের ভিড় থেকে আততায়ীরা বেরিয়ে এসেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আতিক। গুলি করে মারা হয় তাঁর ভাই আশরফকেও।

গুড্ডু মুসলিম নিয়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন আতিক। কিন্তু সে কথা সম্পূর্ণ করার আগেই পর পর গুলির আওয়াজ, আর সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছিলেন আতিক এবং আশরফ। একই হাতকড়ায় বাঁধা ছিলেন আতিক এবং আশরফ। আতিকের মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে, গুড্ডু মুসলিম নিয়ে কী কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি? সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ প্রয়াগরাজ মেডিক্যাল কলেজের সামনে খুন হয়েছেন আতিক এবং আশরফ। তার পর পরই গোটা উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা করেছে রাজ্য সরকার।

Atiq Ahmed Murder Prayagraj

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}