মনোহর লাল খট্টর। —ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার বিজেপি সরকার গত কয়েক দিন ধরে জবরদখল উচ্ছেদের নামে যে ভাবে বুলডোজ়ার চালাচ্ছিল, তা থামিয়ে দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। আদালত আজ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বুলডোজ়ার থামানোর নির্দেশে দিয়েছে। হাই কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আজ হিংসা-দীর্ণ নুহের কোথাও বুলডোজ়ার চলেনি। নুহ-হিংসার এক সপ্তাহ পরে আজ গুরুগ্রাম থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করল জেলা প্রশাসন।
গত চার দিন ধরে জবরদখল উচ্ছেদের নামে নুহের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতি বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে দিচ্ছিল হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরের সরকার। গত সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে হামলার পর পথে নুহ এবং দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় গোষ্ঠী হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। এর পরেই দখলদারি উচ্ছেদের নামে সংখ্যালঘু এলাকায় বুলডোজ়ার নামায় সরকার। প্রশাসনের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বুলডোজ়ার চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ হাই কোর্ট সংখ্যালঘুদের বসতিতে বুলডোজ়ার চালানোর বিষয়টি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই উত্থাপন করে। বিচারপতি জি এস সান্ধাওয়ালিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে বুলডোজ়ার দিয়ে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
গত চার দিনে নুহ প্রশাসন সাড়ে ৩৫০টি ঝুপড়ি এবং ৫০টির মতো স্থায়ী পাকা নির্মাণ ভেঙে দেয় প্রশাসন। এর মধ্যে ডজনখানেক ওষুধের দোকানও রয়েছে। আদালতের আজকের রায়ে পরে বুলডোজ়ার দিয়ে ঝুপড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ বন্ধের জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন ডেপুটি কমিশনার ধীরেন্দ্র খডগাটা।
নুহ থেকে ৩১ জুলাই যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল তার আঁচ পড়েছিল গুরুগ্রামেও। জারি হয় ১৪৪ ধারা। প্রশাসনের তরফে আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলাশাসক ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy