ছ’দিন পেরিয়েও কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি এবং সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পাহাড় গোনা শেষ হল না! ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা একটি মদ সংস্থার মালিক ধীরজ প্রসাদ সাহু এবং তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন সংস্থার একাধিক অফিস ও বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৩৫৩ কোটিরও বেশি বলে জানা গিয়েছে। তবে গণনা এখনও শেষ হয়নি। শেষ হলে টাকার অঙ্ক কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা এখনও অনুমানের বাইরে বলে মেনে নিচ্ছেন তদন্তকারী আয়কর কর্তাদের একাংশ। একাধিক আয়কর অফিসার-কর্মী এবং যন্ত্র একযোগে গণনার কাজ চালাচ্ছেন।
সরকারি ভাবে জানা গিয়েছে, মূলত ওড়িশার একাধিক জায়গায় এবং ঝাড়খণ্ডের কয়েকটি জায়গায় সাহুদের পরিবারের মালিকানাধীন বৌধ ডিস্টিলারির একাধিক অফিস এবং সাহুদের বাড়িতে হানা দিয়ে এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিনশো কোটিরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। যা আয়কর অভিযানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ওই সাংসদের জবাবদিহি তলব করেছে। বিজেপি অবশ্য কংগ্রেসের এই সব সিদ্ধান্তকে আমল না দিয়ে বরং তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সুর ক্রমশ চড়াচ্ছে।
শুধু ঝাড়খণ্ড বা ওড়িশা নয়, ঝাড়খণ্ডের মদ কেলেঙ্কারি মামলায় দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও আয়কর দফতরের অফিসারেরা তল্লাশি অভিযান চালালেন। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ী একটি বিদেশি মদের ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। সারা বিশ্বে প্রায় কুড়িটিরও বেশি দেশে ওই সংস্থা মদ সরবরাহ করে। বার্ষিক কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেনের ব্যবসা। সে ক্ষেত্রে সম্প্রতি ওই ব্যবসায় কালো টাকা সাদা করার নানা সূত্র উঠে এসেছে। সেই কারণে সোমবার সকাল থেকে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ কলকাতার ওই ব্যবসায়ীর একটি বিদেশি গাড়ি ওই কোম্পানির নামে কেনা হয়েছে বলে দাবি আয়কর দফতরের।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)