—প্রতীকী ছবি।
অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের শপথ পর্ব এবং রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শেষ। এ বার সংসদের দুই কক্ষই মোদী সরকার বনাম শক্তি বাড়িয়ে লোকসভায় আসা বিরোধীদের সংঘাতে অগ্নিগর্ভ হতে চলেছে। শুক্রবার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিতর্ক শুরু হবে। সেই আলোচনা মুলতুবি রেখে নিট ও নেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আলোচনার দাবি জানাতে চলেছেন বিরোধীরা। তার পরে সোমবার বিরোধীরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, সাংসদদের গ্রেফতারির অভিযোগে সরব হবে। একে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ তকমা দিচ্ছেন বিরোধীরা।
অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি ও তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তায় তাঁর জামিন আটকে গেলেও অন্য বিরোধী দলগুলি নীরব ছিল। ফলে ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যে এ নিয়ে ফাটল রয়েছে বলে বিজেপি প্রচার করছিল। সংসদ অধিবেশনের রণকৌশল ঠিক করতে আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে বৈঠক বসে। সেখানে রাহুল গান্ধীও হাজির ছিলেন। খড়্গে ও রাহুল দু’জনে এখন যথাক্রমে রাজ্যসভা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে আপ কেজরীওয়াল ও অন্য মন্ত্রী-সাংসদের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ তোলে। বৈঠকে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার ছাড়া শরদ পওয়ার, অখিলেশ যাদবের মতো বিরোধী নেতারা ছিলেন। ঠিক হয়, বিরোধীরা সোমবার অধিবেশন শুরুর আগে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেবেন।
বৈঠকে নিট-এর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়। ২৪ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যতের প্রশ্ন।” রাহুল নিজে শুক্রবার সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে নিট নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। তার পরে এ বিষয়ে লোকসভা, রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিস দেওয়া হবে।
বিরোধীদের বৈঠকে মোট ছ’টি বিষয় সংসদে আলোচনা ও বিতর্কের জন্য তোলা হবে বলে ঠিক হয়েছে। এক, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির টাকা আটকে রাখা, দুই, বেকারত্ব, তিন, মূল্যবৃদ্ধি, চার, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে করায়ত্ত করা, পাঁচ, নিট দুর্নীতি এবং ছয়, সিবিআই, ইডি-কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কাজে লাগানো। শরদ পওয়ার পরামর্শ দেন, সর্বাগ্রে নিট দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরা হোক। কারণ তরুণ প্রজন্ম জানতে চায়, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংসদে বিরোধীরা কতটা সরব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy