প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। ফাইল চিত্র।
ইভিএমে কারচুপি সম্ভব বলে বিরোধীদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যার দাবি তুলেছেন তাঁরা। বিজেপির বক্তব্য, হারের ভয়েই এই তৎপরতা।
লোকসভা ভোটের আগে ইভিএম প্রশ্নে সংশয় দূর করতে আজ নিজের বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠক ডেকেছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। বৈঠকের শেষে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘পৃথিবীতে এমন কোনও যন্ত্র নেই, যাতে কারচুপি করা সম্ভব নয়। তাই ইভিএম সংক্রান্ত সংশয়গুলির লিখিত জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে চাইব।’’ কমিশনের অবশ্য দাবি, প্রায় এক দশক আগে সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়ে দিয়েছিল, ইভিএমে বাইরে থেকে কোনও প্রযুক্তি ব্যবহার করে (ইন্টারনেট, ব্লুটুথ) কারচুপি অসম্ভব। তার পরেও কেন সংশয়, সেই প্রশ্নে বৈঠকে উপস্থিত সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু বলেন, ‘‘প্রথমে বলা হয়েছিল ইভিএম কী ভাবে কাজ করবে, তা এক বারই ঠিক করা (প্রোগ্রামিং) যাবে। কিন্তু পরে কমিশন জানায়, সেটি একাধিক বার করা সম্ভব। ফলে প্রশ্ন উঠেছে।’’
ইভিএমের গণনা মেলাতে সম্প্রতি তার সঙ্গে কাগজের স্লিপ-বেরোনো ভিভিপ্যাট ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিন্তু তা নিয়েও প্রশ্ন আছে বিরোধীদের। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘প্রথমে বলা হয়েছিল, ইভিএম একটি স্বতন্ত্র মেশিন। ভিভিপ্যাট জুড়ে দেওয়ায় সেটি আর স্বতন্ত্র মেশিন রইল না। ফলে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে মূল ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। তা ছাড়া বলা হচ্ছে, যন্ত্রে প্রার্থীর নাম ও চিহ্ন প্রবেশ করানো হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।’’ বিরোধীদের মতে, এমন পরস্পর-বিরোধী তথ্যের ফলেই সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনিল বলুনী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘হার নিশ্চিত বুঝেই এখন থেকে অজুহাত তৈরি শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাঁরা জিতলে ইভিএমে সমস্যা থাকে না। হারলেই ইভিএমের দোষ!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy