ডিএমকে-র নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। ফাইল ছবি।
পৃথক ভাবে বিরোধিতা অর্থহীন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসঙ্গে। বিরোধী মঞ্চের নেতৃত্ব দিয়ে আজ এই দাবি তুললেন ডিএমকে-র নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
স্ট্যালিনের উদ্যোগে আজ সন্ধ্যায় ‘অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন ফর সোশ্যাল জাস্টিস ফোরাম’ সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে আয়োজন করল সামাজিক ন্যায় বিষয়ক আলোচনা চক্রের। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে মোদী সরকারকে তোপ দেগে তোলা হল জাতভিত্তিক জনগণনা শুরু করার দাবি। কংগ্রেসের স্বরে স্বর মিলিয়ে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি-র প্রতি দরদ থেকে নয়। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য থেকে রাজনীতি করাটাই ছিল শাসক দলের উদ্দেশ্য। বিজেপি-র যদি ওবিসি নিয়ে এতই চিন্তা থাকবে তা হলে তো উচিত ছিল এত দিনে তাদের সমাজে প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।’
এ দিনের আলোচনায় ভিডিয়ো মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি রাজনৈতিক ভাবে খোঁচা দিয়েছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজেডি-কে। শাসক দল বিজেপি-র ‘বি’ দল হিসাবেই দিল্লিতে পরিচিত নবীন পট্টনায়েকের দল। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ওড়িশায় নবীন বৈঠক করার পরে জানা গিয়েছিল বিজেডিও এই বিরোধী মঞ্চে আসবে। কিন্তু তার পরে পিছিয়ে যায় তারা। আজ ডেরেক বলেছেন, “দু’তিনটি দল যারা বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়তে চায় না তারা এখানে আসেনি। এখন মাঝামাঝি ধূসর অঞ্চলে থাকার সময় নেই, হয় তোমাকে সাদা হতে হবে নয়তো কালো। বিজেডি-র আজ এ খানে থাকা উচিত ছিল।” তাঁর দাবি, ২০২১ সালে তফসিলি জাতি ও জনজাতির বিরুদ্ধে হিংসা বেশি বেড়েছে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে। মেট্রো শহরের মধ্যে অপরাধ সবচেয়ে কম কলকাতায়।
এম কে স্ট্যালিন, কংগ্রেসের অশোক গহলৌত, আরজেডি-র তেজস্বী যাদব, এসপি-র অখিলেশ যাদব, বিআরএস-র কে কেশব রাও, আপ-এর সঞ্জয় সিংহ, এনসি-র ফারুক আবদুল্লা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির মতো উপস্থিত প্রায় সব নেতাই আজ অবিলম্বে জাতভিত্তিক জনগণনার ডাক দিয়েছেন। গণনার উদ্দেশ্য হল সমস্ত সম্প্রদায়ের আর্থিক পরিস্থিতির স্পষ্ট অনুমান পাওয়া। যাতে তাঁদের উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করা যায়।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, বহু দিন পরে দক্ষিণ ভারত থেকে কোনও নেতাকে (স্ট্যালিন) জাতীয় স্তরে বিরোধীদের একসঙ্গে আনার প্রশ্নে উদ্যোগী হতে দেখা গেল। আগে ১৯৮৯ সালে অকংগ্রেসি দলগুলিকে একজোট করেছিলেন টিডিপি নেতা এন টি রামরাও। এতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতি বসুর মতো বাম শীর্ষ নেতা, কর্নাটকের লোকশক্তি পার্টির রামকৃষ্ণ হেগড়েরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy