প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
যাবতীয় ধোঁয়াশা কাটিয়ে অবশেষে আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়বস্তু জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার রাতে লোকসভার বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সংবিধান সভার দিন থেকে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের সংসদীয় ব্যবস্থার যে যাত্রা পথ, তার সাফল্য, অভিজ্ঞতা, অতীত ও (তা থেকে) শিক্ষা— এই বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে আলোচনা হবে।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে ১৮-২২ সেপ্টেম্বর। বিশেষ অধিবেশন শুরু আগের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নতুন সংসদের গজদ্বারে জাতীয় পতাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই দিনটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। প্রতি বারের মতোই এ বারও লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনটি দেশ জুড়ে ধুমধাম করে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সূত্রের মতে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদের পুরনো ভবনে অধিবেশন শুরু হলেও তার পরের দিন, ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ পুজো উপলক্ষে অধিবেশন নতুন কক্ষে হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বিষয়টি মনে রেখে নতুন সংসদ ভবনের মাথায় দেশের পতাকা লাগানোর যে প্রক্রিয়া, সেটি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিন করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনের দিন নতুন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে ফের জাতীয়তাবাদের বার্তা দেওয়ার কৌশল
নিয়েছে বিজেপি।
প্রথাগত ভাবে এ বারও সংসদ অধিবেশনের আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে সরকার। কিন্তু কেন আজ দুপুর পর্যন্ত বিশেষ অধিবেশনের বিষয়বস্তু জানানো হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের কথায়, ‘‘পাঁচ দিনের মধ্যে সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। কিন্তু এক জন বাদে (খুব বেশি হলে আরও এক জন) আলোচনার কী বিষয়বস্তু, তা কেউ জানেন না! অথচ, অতীতে যখনই এ ধরনের বিশেষ অধিবেশন বসেছে, তখন অধিবেশন কী নিয়ে হতে চলেছে, তা অনেক আগেই
জানিয়ে দেওয়া হত।’’ অধিবেশনের বিষয়বস্তু নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দেওয়া প্রসঙ্গে জয়রামের মতোই মোদী-অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, ‘‘কেবল দু’জন বিষয়টি জানেন। তার পরেও বলব, আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র!’’
ঘটনাচক্রে বুধবার রাতেই লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে তাদের নিজেদের বুলেটিনে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর যে বিশেষ অধিবেশন বসবে, তাতে সংবিধান সভা থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর্যন্ত সংসদীয় যাত্রার বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরে আলোচনা করবেন সাংসদেরা। এ ছাড়া আইনজীবী সংশোধনী, প্রেস ও রেজিস্ট্রেশন অব পিরিয়ডিক্যালস বিল, পোস্ট অফিস বিল ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল আনা হবে এই অধিবেশনে।
এই চারটি বিলের মধ্যে শেষ বিলটি বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। যাতে মুখ্য ও নির্বাচন কমিশনারদের বাছাইয়ের প্রশ্নে তিন সদস্যের কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ রাখা হয়েছে। বিলটি গত অধিবেশনে হট্টগোলের মধ্যেই রাজ্যসভায় পেশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার পক্ষ। অন্য দিকে রাজ্যসভাতেও সংসদের ৭৫ বছরের যাত্রা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও বুলেটিনে পোস্ট অফিস বিল ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন বিল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অন্য দু’টি বিল ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যাওয়ায়, ওই বিল দু’টির উল্লেখ কেবল লোকসভার বুলেটিনে করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy