সোপোরে জঙ্গি হানায় নিহত পুলিশকর্মী ওয়াসিম আহমেদের দেহের অপেক্ষায় তাঁর পরিবার। শনিবার শ্রীনগরে। ছবি: রয়টার্স
কাশ্মীর উপত্যকায় কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খানিক শিথিল হয়েছিল সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান। সেই সুযোগে আজ হামলা চালাল জঙ্গিরা। সোপোরে সেই হামলায় দু’জন পুলিশ ও দু’জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ। আহত ৩ পুলিশকর্মী। হামলার পিছনে লস্কর-ই-তইবা-র হাত আছে বলে উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। আজকের এই ঘটনার পরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ফের বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিলবাগ।
সূত্রের খবর, সাব-ইনস্পেক্টর মুকেশ কুমারের নেতৃত্বে সোপোর পুলিশ ও সিআরপি-র একটি যৌথ বাহিনী এ দিন রুটিনমাফিক টহল দিচ্ছিল আরামপোরায়। ওই অঞ্চলটি সোপোরের মূল বাজার এলাকায়। এই সময়েই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয় বাহিনীও। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুই পুলিশকর্মী ও দুই নাগরিকের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ওয়াসিম আহমেদ ও সওকত আহমেদ নামে দুই কনস্টেবল। হামলাকারীদের খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে উপত্যকা জুড়ে। দিলবাগ বলেছেন, ‘‘হামলার পিছনে লস্কর জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি আমরা হামলাকারী জঙ্গিদের চিহ্নিতও করতে পেরেছি। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে গত কয়েক মাস সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানের কড়াকড়ি কিছুটা কমেছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনী এখনও যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকায়। হামলাকারীরা কোনও ভাবেই রেহাই পাবে না।’’ একটি সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের সময়ে যে বাহিনী পাঠানো হয়েছিল, তাদের এ বার উপত্যকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। উত্তর কাশ্মীরে বড়সড় বাহিনী ঢোকার খবর পেয়েই জঙ্গিরা হামলা চালায় বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হা এবং বিভিন্ন রাজ্যনৈতিক দলের নেতারা এই হামলার নিন্দা করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ‘‘নিন্দনীয় ঘটনা। নিহত ও আহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy