Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
kerala

Gender Neutrality: লিঙ্গনিরপেক্ষ হওয়া উচিত ধর্ষণের সংজ্ঞা, মন্তব্য কেরল হাই কোর্টের

সম্প্রতি এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায়, সন্তান বাবা না মা কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে সওয়ালের সময়ে বাবার বিরুদ্ধে পুরনো ধর্ষণের অভিযোগের কথা উঠে আসে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২২ ০৮:২৮
Share: Save:

ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ধর্ষণের অপরাধের সংজ্ঞা লিঙ্গনিরপেক্ষ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করল কেরল হাই কোর্ট।

সম্প্রতি এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় সন্তান বাবা না মা কার কাছে থাকবে তা নিয়ে সওয়ালের সময়ে বাবার বিরুদ্ধে পুরনো ধর্ষণের অভিযোগের কথা উঠে আসে। বাবার কৌঁসুলি জানান, তাঁর মক্কেল ওই মামলায় জামিন পেয়েছেন। বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক তৈরির ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তখনই বিচারপতি মহম্মদ মুস্তাক বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারা (যাতে ধর্ষণের সংজ্ঞা রয়েছে) লিঙ্গনিরপেক্ষ নয়। যদি এক জন পুরুষ এক জন মহিলাকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায়। কিন্তু কোনও মহিলা একই কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়েরের পথ নেই। এটা কেমন?’’

বিচারপতি মুস্তাকের দেওয়া এক সাম্প্রতিক রায়েও এই মতের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। সেই রায়ে তিনি জানান, যদি কোনও মহিলার স্বাধীন সিদ্ধান্তগ্রহণের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয় তবেই বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হবে। বিচারপতি মুস্তাক জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধি ধর্ষণকে লিঙ্গনিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখে না। ফলে এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলার মধ্যে কার পক্ষে অন্যের উপরে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব ছিল তা বিচার করে দেখতে হবে। বিচারপতি মুস্তাকের মতে, ‘‘আইনে একটা অলীক ধারণা করা হয়েছে যে পুরুষই সব সময়ে প্রভাব বিস্তার করার পক্ষে উপযুক্ত স্থানে থাকবেন।’’

বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ আইনকে সব সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য সমান করে তোলারও সমর্থক বিচারপতি মুস্তাক। সম্প্রতি তিনি এক রায়ে বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণকে মহিলার পক্ষে বিচ্ছেদের জন্য উপযুক্ত আইনি কারণ হিসেবে মান্যতা দিয়েছেন।

ধর্ষণের সংজ্ঞাকে লিঙ্গনিরপেক্ষ করা নিয়ে আগেও আর্জি পেশ হয়েছে দেশের নানা আদালতে। এক মামলায় ২০১৭ সালে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়ে তাদের অবস্থান জানতে চায় দিল্লি হাই কোর্ট। ২০১৯ সালে কেন্দ্র হাই কোর্টে জানায়, ধর্ষণের শিকার হন মূলত মহিলারাই। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে তৈরি ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন চালু রাখা প্রয়োজন। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টেও এই বিষয়ে আবেদন পেশ হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

kerala Sexual Violence Gender
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy