প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের সঙ্গে তাদের অপ্রয়োজনীয় সম্পত্তি বেচে বা লিজ় দিয়ে মোদী সরকার রাজকোষে টাকা তুলতে চাইছে। সরকারি সূত্রের খবর, বিএসএনএল, এমটিএনএল, এইচএমটি, বিইএমএল-এর জমি ও সম্পত্তি থেকে সেই কাজ শুরু হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, বিএসএনএল, এমটিএনএল, এইচএমটি, বিইএমএল-এর প্রায় ২ হাজার একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জমি বেচে দিয়ে বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য লিজ় দিয়ে সরকারের ঘরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা আসতে পারে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষেরও বিপুল জমি রাজ্যে রাজ্যে অব্যহৃত পড়ে রয়েছে। এই সব জমিও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় আইনেও সংশোধন করা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মূল কাজের সঙ্গে যে-সব জমি বা সম্পত্তি যুক্ত নয়, সেগুলি থেকে টাকা তোলার জন্য একটি পৃথক সংস্থাও তৈরি হতে পারে।
বাজেটে চলতি বছরে বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। এর পর বাজেটের প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ১০০টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ‘অব্যবহৃত’ সম্পত্তি বেচে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে ভরার লক্ষ্য নিয়েছে তাঁর সরকার।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, এর মধ্যে ইন্ডিয়ান অয়েল, গেইল, এইচপিসিএল-এর পাইপলাইন থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা আয় হতে পারে। পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুৎ পরিবহণ নেটওয়ার্ক থেকে ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে আসতে পারে। এর পরে আগামী চার বছরে ৩০টির বেশি জাহাজ প্রকল্পকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, এমটিএনএল, বিএসএনএল-কে ফের লাভজনক করে তুলতে ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়েছে। এই সংস্থাগুলির অপ্রয়োজনীয় জমি, সম্পত্তি বেচে যে টাকা আসবে, তা সেগুলিকে লাভজনক করে তোলার কাজেও ব্যবহার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy