উত্তরপ্রদেশে ভোট যত এগোচ্ছে, কংগ্রেসের সঙ্গে ঠোকাঠুকি বাড়ছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র। কংগ্রেস এবং এসপি, উভয়েরই প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। তারা নিজেরা লড়লে, সামান্য হলেও লাভ হবে বিজেপিরই।
এসপি ও বিএসপি-কে একই বন্ধনীতে রেখে বৃহস্পতিবার আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে। তাঁর কথায়, “গত দু’বছর আমরা ছাড়া কোনও বিরোধী দল রাস্তায় নামেনি, আন্দোলন করেনি, মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়ায়নি।” নাম করেই প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আমি বুঝতে পারি না কেন মায়াবতীজি চুপ। অখিলেশজি ভোটের মাত্র দু’মাস আগে কেন জেগে উঠলেন?”
নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই মায়াবতীর দল বিরোধিতার পথ থেকে সরে গিয়েছিল। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপ তৈরি করে রেখেছে কেন্দ্র। কার্যত চুপ করে থেকে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার উপায় ছিল না ‘বহেনজি’-র। তবে সম্প্রতি তাঁকেও ভোটের ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে।
এসপি শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেস কার বাড়ি গেল বা কী করল, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে না। তাদের কোনও জনভিত্তি আর অবশিষ্ট নেই। এসপি-র হিসাব— কংগ্রেস, বিএসপি এবং ছোট ছোট কয়েকটি দল মিলিয়ে দশ-বারোটির বেশি আসন উত্তরপ্রদেশে পাবে না।