‘ইমার্জেন্সি’-র মুক্তির শংসাপত্র নিয়ে সিবিএফসিকে বড় কোনও নির্দেশ দিল না বম্বে হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ইন্দিরা গান্ধীর জীবনী নির্ভর সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তি নিয়ে জট কাটল না বম্বে হাই কোর্টেও। সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে ছবিটি যাতে দ্রুত মুক্তি পেতে পারে, সে জন্য ছবির নির্মাতারা বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন পর্ষদ বা সিবিএফসিকে ছবিটির মুক্তির শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিতে। কিন্তু হাই কোর্ট বুধবার তেমন কোনও নির্দেশ দেয়নি। বরং বিচারপতি জানিয়ে দেন, ছবি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বাইরে তারা কিছু বলতে পারবে না। তবে একই সঙ্গে সিবিএফসিকে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী দু’ সপ্তাহ, অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘ইমার্জেন্সি’র শংসাপত্র নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরার জীবনের কাহিনি নিয়ে ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটি তৈরি করেছেন অভিনেত্রী তথা বিজপির সাংসদ কঙ্গনার রানাউত। ছবিটি এক দিকে পরিচালনা করেছেন তিনি। আবার মুখ্য চরিত্র ইন্দিরার ভূমিকাতেও দেখা যাবে তাঁকেই। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আগামী ৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তার আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছে ছবির বিষয়বস্তু। শিখ সম্প্রদায় অভিযোগ করে, ছবিতে শিখদের ইতিহাস যে ভাবে দেখানো হয়েছে, তা যথাযথ নয়। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে এই মর্মে মামলাও হয়। মামলা করে জবলপুরের শিখ সঙ্গত এবং শ্রী গুরু সিংহ সভা। হাই কোর্টকে তারা বলেছিল, ছবিটির বক্তব্য প্রকাশ্যে এলে তা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্থিরতা এবং সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে উদ্বিগ্ন তারা।
মধ্যপ্রদেশের হাই কোর্ট শিখ সম্প্রদায়ের ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিএফসিকে নির্দেশ দেয়। তাদের বলা হয়, ছবিটির মুক্তির শংসাপত্র দেওয়ার আগে যেন ছবি সম্পর্কে ওঠা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে তারা। যার বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘ইমার্জেন্সি’র নির্মাতারা। কিন্তু বম্বে হাই কোর্টও সেই একই কথা বলেছে। পাশাপাশি, তারা জানিয়েছে, দেশের একটি হাই কোর্ট যেখানে সিবিএফসিকে একটি নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে, সেখানে অন্য হাই কোর্ট অন্য নির্দেশ দিলে, সিবিএফসি কার কথা শুনবে! আইন মেনেই তাই এমন কোনও নির্দেশ দিতে পারবে না তারা।
যদিও একই সঙ্গে বম্বে হাই সিবিএফসিকে বলে, ছবিটি তৈরি করতে যে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে, তা যেন মাথায় রাখে তারা। ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ছবিটি নিয়ে আপত্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানায় হাই কোর্ট। অর্থাৎ, আপাতত দু’সপ্তাহের জন্য ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেল। তবে হাই কোর্টের নির্দেশের পরও দমে যাওয়ার পাত্রী নন কঙ্গনা। তাঁর ‘টিম’ এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছে, ‘‘সিবিএফসিকে বেআইনি ভাবে ইমার্জেন্সির শংসাপত্র আটকে রাখার জন্য ভর্ৎসনা করেছে হাই কোর্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy