Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Pobitora Wildlife Sanctuary

মর্যাদায় অনিয়ম, পবিতরা কি আর অভয়ারাণ্য থাকছে না

রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বন দফতরের সাম্প্রতিক বৈঠকে জানা যায়, পবিতরাকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করার সিদ্ধান্তে বন দফতরের তদানীন্তন কমিশনার ও সচিব স্বাক্ষর করলেও ওই বিষয়টি মন্ত্রিসভায় আনা বা পাশ করানো হয়নি।

Pobitora Wildlife Sanctuary

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৬:২২
Share: Save:

অভয়ারণ্য হিসেবে ১৯৯৮ সালের ১৭ মার্চ ঘোষিত হয়েছিল অসমের মরিগাঁও জেলায় থাকা পবিতরার জঙ্গল। বর্তমানে বিশ্বে গন্ডারের ঘনত্বের নিরিখে পয়লা নম্বরে আছে এই অরণ্য। কিন্তু ২৬ বছর পরে, প্রশাসনিক জটিলতার জেরে শতাধিক গন্ডার, চিতাবাঘ, বুনো মোষ, বুনো শুয়োর, হরিণ থাকা এই জঙ্গল তার অভয়ারণ্যের তকমা হারাতে চলেছে, দেশের ইতিহাসে যা বেনজির।

কিন্তু কেন ‘মিনি কাজিরাঙা’ পবিতরা তার অভয়ারণ্যের মর্যাদা হারাতে চলেছে?

কারণটা গোড়ায় গলদ। রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বন দফতরের সাম্প্রতিক বৈঠকে জানা যায়, পবিতরাকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করার সিদ্ধান্তে বন দফতরের তদানীন্তন কমিশনার ও সচিব স্বাক্ষর করলেও ওই বিষয়টি মন্ত্রিসভায় আনা বা পাশ করানো হয়নি। তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক সম্মতিও নেওয়া হয়নি। অভয়ারণ্যের জমি ও সীমানাও ২৬ বছরে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ অনেক খাস জমি সেখানে ঢুকে রয়েছে। যে সব গ্রামবাসীর জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল তাদের অধিকার ও অভয়ারণ্য ঘোষণা হওয়ার আগে থেকে পবিতরায় বাস করা মানুষদের ক্ষতিপূরণের বিষয়গুলির নিষ্পত্তি হয়নি। তাই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পবিতরাকে অভয়ারণ্য ঘোষণার আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে।

অবশ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের মতে এ ভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা কোনও জঙ্গলের অভয়ারণ্য বা জাতীয় উদ্যানের তকমা বাতিল করতে পারে না। তার জন্য ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফের সুপারিশ ও সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজ্য সরকার বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ৩৮.৮ বর্গ কিলোমিটারের সীমানা পূনর্বিন্যাস, জবরদখল হটানো, খাস জমির মীমাংসা করা, আশপাশের এলাকা ইকো-সেনসিটিভ জ়োন ঘোষণা করার বিভিন্ন দাবি সহ আবেদন জমা দিয়েছে।

মন্ত্রিসভার মতে, পবিতরার মতো বিপন্ন বণ্যপ্রাণীসমৃদ্ধ অরণ্যকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা আশু প্রয়োজন। তাই পবিতরার বিভিন্ন দিক, আশপাশের গ্রামবাসীর অধিকার ও সংরক্ষণে তাদের ভূমিকা, বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় বিচার করার জন্য বন দফতরের ভারপ্রাপ্ত বিশেষ মুখ্য সচিব, মরিগাঁও ও কামরূপ মহানগরের জেলাশাসক, গুয়াহাটি ও নওগাঁওয়ের ডিএফওকে নিয়ে কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। গুয়াহাটি ডিভিশনের ডিএফও পশুপুলেতি মণিকা কিশোর জানান, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়েছে। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেয়, সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Assam Assam Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE