Advertisement
E-Paper

চলতি বাজেট অধিবেশনেই ওয়াকফ বিল

গত বাদল অধিবেশনে ওয়াকফ বিল সংসদে পেশ করে সরকার। বিল পেশ করেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয় তারা। এ বারে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই জেপিসি বিলটি লোকসভায় জমা দেয়।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৮
Share
Save

বাজেট অধিবেশনের শেষ পর্বে আসতে চলেছে সংশোধিত ওয়াকফ বিল (২০২৪)। লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে সমাজের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ ঘটাতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকা সমাজে ভুল ভাবে তুলে ধরতেই ওই বিল আনতে চলেছে সরকার।

গত বাদল অধিবেশনে ওয়াকফ বিল সংসদে পেশ করে সরকার। বিল পেশ করেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয় তারা। এ বারে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই জেপিসি বিলটি লোকসভায় জমা দেয়। সংসদ শেষ হতে আর দু’সপ্তাহ বাকি। মাসের শেষে ইদ। সরকারের একটি অংশ ইদের পরে বিলটি লোকসভায় পেশ করতে চায়। কারণ সরকার ভাল করেই জানে, বিলটি পেশ হওয়া মাত্র পথে নামবেন সংখ্যালঘুদের একাংশ। তাই ইদ কেটে যাওয়ার পরে অধিবেশন শেষ হতে হাতে যে তিন-চার দিন মিলবে, তার মধ্যে বিলটি পেশ করে তা পাশ করিয়ে নিতে চায় সরকার। সরকারের অন্য অংশের যুক্তি, ওই বিল ঘিরে আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী। তাই দেরি না করে বিলটি আনা উচিত। বিজেপির ওই অংশের মতে, ইদের আগে বিল আনা হলে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদের তীব্রতা অনেকটা বাড়বে। যা বিহার, অসম বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে হিন্দু ভোটের মেরুকরণে সাহায্য করবে।

কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, সমাজে ঝামেলা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার লক্ষ্যেই ওই বিল আনা হচ্ছে। আজ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সংখ্যালঘু সমাজকে দানব হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সংখ্যালঘু সমাজের প্রথা ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাতে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী মেরুকরণ সম্ভব হয় এবং যা ভোটের বাক্সে বিজেপিকে সাহায্য করবে।

জেপিসিতে বিল নিয়ে আলোচনায় বিরোধীদের আনা একটিও সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি নিজেদের মর্জিমাফিক ওয়াকফ বিলে পরিবর্তন এনে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। রমেশের কথায়, “সেই কারণে পরিকল্পিত ভাবে বিলে কারা ওয়াকফে সম্পত্তি দান করতে পারবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রাখা হয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের জাতীয় কাউন্সিল, রাজ্য বোর্ড ও ট্রাইবুন্যালের ক্ষমতা পরিকল্পিত ভাবে খাটো করা হচ্ছে।” কেন নতুন বিলে জেলাশাসক ও সরকারি অফিসারদের হাতে যাবতীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন রমেশ।

ওই বিলের প্রতিবাদে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড পথে নেমেছে। আজ তারা জানায়, ২৬ মার্চ পটনা থেকে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামা হবে। সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে আরএসএস। এ দিন সংগঠনের নেতা দত্তাত্রেয় হোসবলে বলেন, “ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে কৃষকদের জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে। তাই এ নিয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করে, তা নিয়ে সকলেরই আগ্রহ রয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Waqf Bill Waqf Board Budget session Central Budget Session 2025

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}