প্রতীকী ছবি।
আত্মসমর্পণ করতে বললেন বাবা-মা। কিন্তু সেই সুযোগ পেল না বছর চোদ্দোর ফয়সল গুলজ়ার গনাই। শেষ পর্যন্ত বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হল তার। বাহিনীর দাবি, ফয়সলের সঙ্গীই তাকে আত্মসমর্পণ করতে দেয়নি। দক্ষিণ কাশ্মীরে গত কাল থেকে দু’টি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত জঙ্গির সংখ্যা পাঁচ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টায় কাশ্মীরে ১২ জন জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। যা বড় সাফল্য বলেই দাবি তাদের।
সম্প্রতি কাশ্মীরে ব্যবসায়ী, বিজেপি নেতা, টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান-সহ বেশ কয়েক জন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন জঙ্গি হানায়। বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও জঙ্গিরা ফের সক্রিয় হচ্ছে বলে জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে গোপন তথ্য সংগ্রহের নেটওয়ার্ককে আরও সক্রিয় করা হয়।
গত কাল শোপিয়ানের রেবান, বান্ডপাওয়া ও চিত্রগাম গ্রামের মধ্যে বাগিচায় জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। জওয়ানদের দেখে জঙ্গিরা গুলি চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয় বাহিনী। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
গত কাল সন্ধ্যায় এক জঙ্গি নিহত হয়। ইতিমধ্যে বাহিনী জানতে পারে, ওই দলে রয়েছে বছর চোদ্দোর ফয়সল গুলজ়ার গনাই। সম্প্রতি চিত্রগামের বাসিন্দা ফয়সলের পরিবার জানায়, সে নিখোঁজ হয়েছে। তাকে ফিরে পেতে সকলের সাহায্য চেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা।
ওই কিশোর চিত্রগামের বাগিচায় রয়েছে বুঝে তার বাবা-মাকে ঘটনাস্থলে আনে বাহিনী। তাঁরা ফয়সলকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। বাহিনীও তার নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়। বাহিনীর দাবি, ওই কিশোরের সঙ্গীই তাকে আত্মসমর্পণ করতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত আজ ভোরে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় ফয়সল ও তার সঙ্গী আসিফ আহমেদ গনাই। সে-ও চিত্রগামের বাসিন্দা। তৃতীয় জঙ্গিকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। নিহতদের কাছ থেকে একটি একে-৫৬ রাইফেল, ২টি পিস্তল ও অন্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমারের মতে, ‘‘আমাদের ধারণা, ফয়সলের কাছে অস্ত্র ছিল না। সশস্ত্র দুই সঙ্গী বাধা দেওয়ায় সে আত্মসমর্পণ করতে পারেনি।’’ নিহত তিন জনের বিরুদ্ধেই নানা জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে অনন্তনাগের বিজবেহারার সেমথানে একটি বাড়িতে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে গত কাল অভিযানে নামে বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলির লড়াইয়ের মধ্যেই আটকে পড়া বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরায় বাহিনী। আজ সকালে ফের অভিযান শুরু হয়। তাতে তৌসিফ আহমেদ বাট ও আমির হুসেন গনাই নামে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা বিজবেহারারই বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, তারা গত বছরে এক সিআরপি জওয়ান ও শুক্রবার টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান মহম্মদ সালিম আখুনের হত্যায় জড়িত ছিল।
ময়না তদন্তের পরে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের নয়া নীতি অনুযায়ী জঙ্গিদের দেহ নির্দিষ্ট সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করা হবে। অন্ত্যেষ্টির সময়ে পরিবারের সদস্যেরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। কিন্তু তাঁদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy