—প্রতীকী চিত্র।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণের তেলঙ্গানাতেও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি যে উন্নয়নের বদলে মেরুকরণকেই প্রচারের অস্ত্র করবে, তা রবিবার প্রকাশিত দলের প্রার্থী তালিকা থেকেই ফের স্পষ্ট হয়ে গেল। ৫২ জনের তালিকায় তিন জন সাংসদ ছাড়াও ঠাঁই হয়েছে একাধিক ঘৃণাভাষণে অভিযুক্ত দলের বিধায়ক টি রাজা সিংহের। হজরত মহম্মদ সম্পর্কে কুকথা বলায় আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র নিন্দা এবং সমালোচনার মুখে বিজেপি গত বছর এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতাকে সাসপেন্ড করলেও তা যে নেহাতই সাময়িক পদক্ষেপ ছিল, তা এ দিন তাঁর ফের প্রার্থী হওয়ায় স্পষ্ট হয়ে গেল।
এ দিনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কিছু ক্ষণ আগে বিজেপির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিজের মন্তব্য নিয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার পরে দল সব দিক বিবেচনা করে টি রাজা সিংহের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কট্টরপন্থী নেতাকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র গোসা মহল থেকেই টিকিট দিয়েছে দল। পাশাপাশি ইঙ্গিত মিলেছে, রাজ্যের অন্যত্রও মেরুকরণের লক্ষ্যে এই নেতাকে প্রচারে ব্যবহার করবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল।
এ দিনের প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়েছে তিন সাংসদেরও। বিরোধীদের অভিযোগ, হারের ভয়েই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো তেলঙ্গানাতেও সাংসদদের প্রার্থী করা হয়েছে। তা ছাড়া, রাজ্য নেতৃত্বের উপরে যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভরসা নেই, তা-ও সাংসদদের প্রার্থী করায় স্পষ্ট। তিন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন তেলঙ্গানা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমার। তাঁর সঙ্গে রাজ্য নেতাদের সুসম্পর্ক নেই বলেই সূত্রের খবর। তাঁকে করিমনগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রার্থী করা হয়েছে সাংসদ বাপু রাও সোয়াম এবং অরবিন্দ ধর্মপুরীকেও।
প্রাক্তন টিআরএস (বর্তমানে বিআরএস) নেতা রাজেন্দ্র ইয়াতালাকে হুজুরাবাদ এবং গাজোয়েল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজোয়েল কেন্দ্রে প্রার্থী বিআরএস-প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। হুজুরাবাদে কংগ্রেস প্রার্থী দলের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি উত্তম কুমার রেড্ডি। দু’টি আলাদা কেন্দ্রে দুই হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো রাজেন্দ্র ইয়াতালা যে দলে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছেন, তা স্পষ্ট। আর এতেই ক্ষুব্ধ রাজ্যে বিজেপির পুরনো নেতারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, এমনিতেই কর্নাটক জয়ের সুবাদে এ বারে কংগ্রেস তেলঙ্গানায় বাড়তি শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। টিআরএস এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোর টক্করের হাওয়ায় বিজেপি দলের পুরো নেতাদের গুরুত্ব না দিয়ে অন্য দল থেকে আসা নেতাদের বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। পরবর্তী প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকলে দলের অনেকে যে বসে যাবেন বা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে মোদী-অমিত শাহদের মাথাব্যথার কারণ হবেন, সে ইঙ্গিতও মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy