আরজেডি-র রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিংহের সঙ্গে তেজস্বী যাদব। রবিবার পটনায়। ছবি: পিটিআই।
আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির সম্ভাব্য জোট নিয়ে এ বার মুখ খুললেন লালু প্রসাদের পুত্র আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। জানালেন, “ঘরোয়া ভাবে দলগুলির মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।” তাঁর কথায়, “প্রত্যেকটি দল তাদের রাজ্যে বিজেপিকে আটকানোর জন্য চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে।”
এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার এর আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। শিবসেনার পক্ষ থেকে উদ্ধব ঠাকরেও সরব হয়েছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত প্রশান্ত কিশোর এক পক্ষকালে তিন বার বৈঠক করেছেন পওয়ারের সঙ্গে। আবার পওয়ারের বাড়িতেই আটটি রাজনৈতিক দলের নেতা বৈঠকে বসেছিলেন রাষ্ট্রমঞ্চ নাম দিয়ে।
সব মিলিয়ে বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির জল মাপা যখন শুরু হয়েছে, তখন বিহারের তেজস্বীর এই মন্তব্য, জোট-জল্পনাকে আরও কিছুটা উস্কে দিল। তেজস্বীর কথায়, “বিষয়টি এখন এমন দাঁড়িয়ে গিয়েছে যে মোদী বনাম মুদ্দা। মোদী বনাম দেশের মানুষ। এমন চতুর ভাবে চিত্রনাট্য বিজেপি রচনা করছে, যেন মোদীর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী ভারতে ছিলেন না, মোদীর পরেও কেউ নেই!”
কংগ্রেসকে ছাড়া যে বিজেপি-বিরোধী জোট সম্ভব নয়, এ কথা আগে বলেছেন পওয়ার। আজ তেজস্বীও একই কথা বলে জানিয়েছেন, প্রায় ২০০টি আসনে কংগ্রেস ও বিজেপির লড়াই হবে। ফলে কংগ্রসকে বাদ দিয়ে কোনও জোট করা কঠিন। তবে কংগ্রেসকে রাখতে হবে, এ কথা জানানোর পাশাপাশি তৃণমূল, ডিএমকে, জেএমএম, এসপি, এনসিপি, শিবসেনা, বাম, বিজেডি-র মতো দলগুলির শক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “এই দলগুলি প্রত্যেকেই নিজ নিজ রাজ্যে শক্তিশালী। সম্প্রতি আঞ্চলিক দলগুলি প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপিকে
হারানো যায়।”
বিহার এবং ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪। এই সংখ্যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। তেজস্বীর কথায়, “ইউপিএ-র প্রথম ইনিংসে, আমাদের দল বিহার এবং ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে ২৪টি আসন পেয়েছিল। হিন্দি বলয়ে আমাদের শক্তিকে আজও অগ্রাহ্য করা যায় না। আমাদের ফলাফলের একটা প্রভাব পড়ে সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশেও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy