Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
National News

ষোড়শীর ‘বিয়ে’ ৬৫র বৃদ্ধের সঙ্গে! ৫ লাখে বেচে দেওয়ার অভিযোগ

হায়দরাবাদের বাসিন্দা সাইদার দাবি- বিয়ে নয়, মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁর মেয়েকে ওই বৃদ্ধের কাছে বেচে দিয়েছেন কিশোরীর পিসি-পিসেমশাই। পুলিশের কাছে তাঁর কাতর আর্জি, যে ভাবেই হোক মেয়েকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।

মেয়েকে বৃদ্ধের কাছে বেচে দিয়েছেন পিসি-পিসেমশাই, অভিযোগ কিশোরীর মায়ের। ছবি: সংগৃহীত।

মেয়েকে বৃদ্ধের কাছে বেচে দিয়েছেন পিসি-পিসেমশাই, অভিযোগ কিশোরীর মায়ের। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ১৮:৪৪
Share: Save:

পাত্রী বছর ষোলোর। পাত্র ওমানের এক বিত্তশালী শেখ। বয়স? ৬৫ বছর। অভিযোগ, কিশোরীর বাবা-মায়ের বারণ সত্ত্বেও এই ‘বিয়ে’ হয়েছে। আর তা নিয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পাত্রীর মা সাইদা উন্নিসা। হায়দরাবাদের বাসিন্দা সাইদার দাবি- বিয়ে নয়, মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁর মেয়েকে ওই বৃদ্ধের কাছে বেচে দিয়েছেন কিশোরীর পিসি-পিসেমশাই। পুলিশের কাছে তাঁর কাতর আর্জি, যে ভাবেই হোক মেয়েকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।

আরও পড়ুন

৩০ ভোটে হার, আত্মহত্যা কুপার্সের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীর

বুধবার ফালুকনামা থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাইদা। তেলঙ্গানার নবাব সাহেব কুন্টা জেলার বাসিন্দা সাইদা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, গত রমজানে হায়দরাবাদে এসেছিলেন ওমানের ওই বয়স্ক শেখ। তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন পিসি ঘৌসিয়া ও তার স্বামী সিকন্দর। কিন্তু, বাবা-মায়ের চোখ এড়িয়ে কী ভাবে সেই বিয়ে হল? সাইদার দাবি, মেয়েকে বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে হায়দরাবাদের বরকস এলাকায় একটি হোটেলে নিয়ে যান ঘৌসিয়া ও সিকন্দর। সেখানেই রীতিমতো কাজি ডেকে ওই বয়স্ক শেখের সঙ্গে বিয়ে দেন কিশোরীর। বিয়ের পর হোটেলেই শেখের সঙ্গে চার দিন কাটায় ওই কিশোরী। এর পর তাকে তিগলকুন্টা জেলায় নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ঘৌসিয়া। সেখান থেকেই তাকে ওমান নিয়ে যান ওই শেখ। সাইদা যখন গোটা ব্যাপারটা জানতে পারেন, তখন মেয়ে ওমানে চলে গিয়েছে।

আরও পড়ুন

জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে মুসলিম অধ্যক্ষকে নিগ্রহ

সাইদার অভিযোগ, শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ঘৌসিয়া ও সিকান্দরকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁর মেয়েকে কিনে নিয়েছেন। সে টাকা ফেরত না পেলে মেয়েকেও ছাড়বেন না। সাইদার দাবি, “মেয়েকে ফেরানোর কথা বলায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

ফালুকনামার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহম্মদ তাজুদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও দেখা করেছেন সাইদা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

General Crime Hyderabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy