ভুয়ো মার্কশিট দিয়ে চাকরি, ধরা পড়লেন ভুয়ো শিক্ষক। — প্রতীকী ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রাক্তন মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে বেতনের সমস্ত অর্থ ফেরাতে হয়েছিল। অঙ্কিতা বেআইনি ভাবে শিক্ষিকার পদে চাকরি পেয়েছিলেন। এ বার অঙ্কিতাকাণ্ডেরই পুনরাবৃত্তি বৃহত্তর নয়ডায়। সরকারি স্কুলের এক শিক্ষককে ফেরাতে হবে ২৬ বছরের বেতন। অপরাধ, তিনি মার্কশিট জাল করে স্কুলের শিক্ষকের চাকরিটি বাগিয়েছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের বৃহত্তর নয়ডার জারচা থানা এলাকার পাতরাহি গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসাবে যোগিন্দর কুমার এত দিন কাজ করেছেন। সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন তিনি। গত ২৬ বছর ধরে যোগিন্দর যত টাকা বেতন হিসাবে পেয়েছেন, ফেরাতে হবে তা-ও। কারণ, তদন্তে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ভুয়ো মার্কশিট তৈরি করিয়ে চাকরিটি পেয়েছিলেন যোগিন্দর।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালে নয়ডার রানোলি লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা যোগিন্দর দ্বাদশ শ্রেণি পাসের একটি ভুয়ো মার্কশিট সংগ্রহ করে সরকারি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পান। তার পর থেকে ভালই চলছিল। সম্প্রতি দাদরির ব্লক এডুকেশন অফিসার নরেন্দ্রকুমার শ্রীবাস্তবের কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। সেখানে যোগিন্দরের শিক্ষাগত যোগ্যতা খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়। সেই মতো নরেন্দ্রকুমার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তাতে পাওয়া যায়, যোগিন্দর দ্বাদশ শ্রেণি পাশই করেননি। তিনি একটি ভুয়ো মার্কশিট দেখিয়ে সরকারি শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। এর পরেই শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে যোগিন্দরকে। পাশাপাশি গত ২৬ বছর ধরে যোগিন্দর যা বেতন পেয়েছেন, তা-ও ফেরাতে হবে। এ কথা শুনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছেন যোগিন্দর। তাঁর খোঁজ মিলছে না।
বস্তুত, সম্প্রতি একই দৃশ্য দেখেছে বঙ্গবাসীও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনৈতিক ভাবে স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যায় মন্ত্রীকন্যার। ফেরাতে হয়, চাকরি জীবনে যত টাকা বেতন হিসাবে উপার্জন করেছিলেন অঙ্কিতা, তা-ও। নয়ডার যোগিন্দর সেই ঘটনা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy