ক্লাসে পড়াশোনা করছিল না ছাত্র। গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীর ঘটনা। আরও অভিযোগ, দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র যাতে বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে, তা নিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন শিক্ষক। শিশুটির পরিবার শুক্রবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৈনপুরীর নাগরি আন্টির একটি স্কুলে এই ঘটনা হয়েছে। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে পড়া পারেনি সে। সেই কারণে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে মারধর করেন শিক্ষক। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুখবীর সিংহ দাবি করেছে, এই ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ছাত্রের বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলে স্কুলে যেতে চাইছে না বুধবারের পর থেকে। ভয় পাচ্ছে।’’
গত বছর সেপ্টেম্বরে মেরঠে ১৩ বছরের এক দলিত পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন এক শিক্ষক। অভিযোগ ছিল, ওই ছাত্রকে ক্লাসে লাঠি দিয়ে মেরেছিলেন তিনি। সেই আঘাতের চিহ্ন তার মুখে এবং পিঠে ছিল। বিষয়টি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে তৎপর হতে বাধ্য হয় পুলিশ। ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ, প্রথমে ভবনপুর থানার পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে সিনিয়র এসপির হস্তক্ষেপে থানায় এফআইআর জানান তিনি।