ফাইল ছবি।
করোনা পর্বে রমরমিয়ে চালু হয়েছিল ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। এই প্রক্রিয়ায় বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করতেন কর্মীরা। এতে সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া যেমন রোখা যেত, তেমনই কাজও এগোত গড়গড়িয়ে। কিন্তু করোনার দাপট একটু কমতেই আবার কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সম্প্রতি আবার করোনা বাড়ছে। এই প্রেক্ষিতে আবার বাড়িতে বসে কাজেই ফিরছে টিসিএস, ইনফোসিসের মতো দেশের একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক।
আবার দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতি দিনই নিয়ম করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি আবার স্কুল, কলেজ, অফিস-কাছারি বন্ধ হয়ে যাবে? এখনও তা নিয়ে স্পষ্ট দিশানির্দেশ না মিললেও দেশের একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক কর্মীদের ফের বাড়িতে বসে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংক্রমণ খানিক কমার পরই এই বহুজাতিক সংস্থাগুলো কর্মীদের অফিসে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল। বেশির ভাগ সংস্থাতেই এত দিন হাইব্রিড পদ্ধতিতে কাজ চলছিল। এর অর্থ হল, সপ্তাহে কয়েক দিন অফিসে আসতে হত কর্মীদের। বাকি দিনগুলোতে বাড়ি থেকে কাজ সারতে হত।
করোনার দাপট একটু কমতেই একটি আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি ‘সিনপসিস’-এর নয়ডার কার্যালয়ে কর্মীদের ফেরানোর নির্দেশ জারি করেছিল। সেখানেই সম্প্রতি আবার কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজে উৎসাহ দেওয়া শুরু হয়েছে। সংস্থার এক কর্মী বলেছেন, ‘‘গত মাসেই আমাদের অফিসে ফেরার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু এক জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হতেই আবার ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার কথা বলা হয়েছে।’’
‘পেটিএম’ নামে সংস্থাটি তাদের কর্মীদের পুরোপুরি বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। টিসিএস বা ইনফোসিসের মতো ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইতিমধ্যেই হাইব্রিড মডেলকেই দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর, সংস্থাগুলোর মাত্র পাঁচ শতাংশ কর্মীকে অফিসে আসতে হচ্ছে। অফিসে আসা কর্মীদের সিংহভাগই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী।
সব মিলিয়ে করোনার দাপট আবার বাড়তেই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করায় উৎসাহ দিতে শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy