প্রতীকী ছবি।
অসমে এক ছাত্রীকে জোর করে পর্নোগ্রাফি দেখানোর ঘটনা নিয়ে যখন শোরগোল চলছে, ঠিক সেই সময়েই দেশের আর এক রাজ্য মহারাষ্ট্রে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দুই পড়ুয়াকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে অভিভাবকদের অভিযোগ, পুলিশ এফআইআর করতে অনেক দেরি করেছে। অভিযোগ জমা পড়ার ১২ ঘণ্টা পরে কেন এফআইআর করা হল তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় জেলা শিশু ও মহিলা কল্যাণ দফতর হস্তক্ষেপ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ অগস্ট ওই সাফাইকর্মীকে স্কুলের কাজে নিয়োগ করা হয়। ওই দিনই শৌচাগারে যাওয়ার সময় দুই ছাত্রীকে ওই সাফাইকর্মী নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। তবে গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
দুই ছাত্রীর পরিবার স্থানীয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এক নেতার কাছে বিষয়টি জানান। তিনি তাঁদের শুক্রবার থানায় নিয়ে যান। অভিযোগ, অভিভাবকদের বয়ান না নিয়ে, এফআইআর দায়ের না করে, তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। অভিভাবকদের দাবি, থানা থেকে তাঁদের বলা হয় আগে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হবে, তার পর এফআইআর দায়ের হবে। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় শিশু ও নারীকল্যাণ দফতর হস্তক্ষেপ করে। তার পরই পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার অসমের এক সরকারি স্কুলে এক ছাত্রীকে জোর করে পর্নোগ্রাফি দেখানের অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিভাবকরা স্কুলে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান, আগুন লাগিয়ে দেন। কিন্তু অভিযুক্তের নাগাল পাননি তাঁরা। পুলিশও অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy