ফাইল চিত্র ।
দিল্লিতে প্রেমিকের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকরের মতো অবস্থা হতে পারে অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের। বিয়ের আগে স্বামী ফাহাদ আহমেদের ফ্রিজ খুলেও দেখে নেওয়া উচিত ছিল স্বরার। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের জের টেনে এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) নেত্রী সাধ্বী প্রাচী।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদকে বিয়ে করেছেন স্বরা। মালাবদল থেকে সইসাবুদ, সমস্ত আইনি এবং সামাজিক নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী। আর তার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে স্বরা-ফাহাদের বিয়ে নিয়ে। হিন্দু এবং মুসলমান, দুই পক্ষেরই রোষের মুখে পড়েছেন এই দম্পতি। এই বিয়েকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের প্রধান মৌলানা শাহবুদ্দিন রিজ়ভি। তাঁর দাবি, স্বরাকে ইসলাম কবুল করতে হবে। অন্য দিকে হিন্দু হয়ে এক জন মুসলমানকে বিয়ে করার জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন স্বরা।
এই প্রসঙ্গে ভিএইচপি নেত্রী সাধ্বী বলেন, ‘‘সম্ভবত, কী ভাবে শ্রদ্ধার দেহকে ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল সে খবরে মনোযোগ দেননি স্বরা। এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর একবার ফ্রিজটি খুলে দেখা উচিত ছিল।’’ প্রাচীর দাবি, ফাহাদকে বিয়ে করা স্বরার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু শ্রদ্ধার সঙ্গে যা ঘটেছে তা অভিনেত্রীর সঙ্গেও ঘটতে পারে বলে প্রাচী মন্তব্য করেছেন।
নিজের ধর্মের কাউকে বিয়ে না করার জন্য অভিনেত্রীকে হিন্দুবিরোধী বলেও মন্তব্য করেন প্রাচী। তাঁর কথায়, ‘‘স্বরা সবসময়ই হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ও নিজধর্মের কাউকে বিয়ে করবেন না।’’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। এর পর নাকি আমেরিকার এক ওয়েব সিরিজ় থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেন আফতাব। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে কিনে আনা হয় নতুন ফ্রিজ। সেই ফ্রিজেই বেশ কিছু দিন রাখা হয়েছিল শ্রদ্ধার খণ্ডিত দেহ। তার পর সেই দেহের টুকরোগুলি জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে আফতাবের বিরুদ্ধে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা দেশ। বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন আফতাব।
তবে এর পরও দেশে আরও দু’টি ঘটনা ঘটে গিয়েছে যেখানে ভালবাসার মানুষকে খুন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শ্রদ্ধার মতো একটি হত্যাকাণ্ড দিল্লিতে ঘটলেও অন্যটি ঘটেছে অসমে। গত ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে গাড়ির ভিতরে মোবাইল ফোনের ডেটা কেবলের তার প্রেমিকা নিক্কি যাদবের গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ প্রেমিক সাহিল গহলৌতের বিরুদ্ধে। এর পর নাকি নিজে হাতে প্রেমিকার দেহ ধাবার ফ্রিজে ভরে দেন সাহিল। তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সাহিলকে গ্রেফতার করেছে। সাহিল পুলিশের কাছে নিক্কিকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সাহিলের বাবা বীরেন্দ্র সিংহও।
এর পর স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করে দেহ ফ্রিজে ভরে রাখার অভিযোগ উঠেছে অসমের বন্দনা কলিতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত বছরের ২৬ জুলাই এবং ১৭ অগস্ট যথাক্রমে নিজের শাশুড়ি শঙ্করী দে এবং স্বামী অমরজ্যোতি দে-কে খুন করেন বন্দনা। স্বামী এবং শাশুড়িকে খুনের পর নাকি তাঁদের দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। স্বামী এবং শাশুড়ির টুকরো দেহাংশ পরে তিনি মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে আসেন বলেও অভিযোগ। স্বামী এবং শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে বন্দনা এবং তাঁর দুই পুরুষ সঙ্গীকে পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy