বেতনভুক ৩০ জন কর্মী। নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য তাঁদের প্রত্যককে মোটরবাইক দিয়েছিলেন নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের ‘মুখিয়া’ সঞ্জীব। ধৃতদের জেরা করে সিবিআইয়ের হাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। শুধু তা-ই নয়, নালন্দা এবং পটনায় সঞ্জীবের ছিল গোপন অফিসও। মূলত ওই দুই জায়গা থেকেই প্রশ্নফাঁসের নেটওয়ার্ক চালাতেন ‘মুখিয়া’!
সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃতেরা আরও দাবি করেছেন যে, একটি সংস্থার মতোই প্রশ্নফাঁসের নেটওয়ার্ক চালাতেন সঞ্জীব। তাঁর ইশারাতেই কাজ করতেন কর্মীরা। প্রশ্নফাঁসের জন্য বহু লোককে নিয়োগ করতেন সঞ্জীব নিজেই। মূলত পটনা এবং নালন্দা থেকে বেকার, অত্যন্ত চতুর এবং ভরসা করা যায়, এমন তরুণ এবং যুবকদের নিজের দলে নিয়োগ করতেন সঞ্জীব। তাঁদের আবার পরখ করে নিতেন সঞ্জীব নিজেই।
আরও পড়ুন:
তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে, সঞ্জীবের অধীনে ৩০ জন কর্মী কাজ করতেন। তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হত। নেটওয়ার্ক চালাতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তাই যোগাযোগ সক্রিয় রাখতে ওই কর্মীদের প্রত্যেককে বাইক দিয়েছিলেন সঞ্জীব। সঞ্জীব মুখিয়া ওরফে লুটনের এখনও হদিস পাওয়া যায়নি। ধৃতদের দাবি, পটনা এবং নালন্দায় সঞ্জীবের অফিস থাকলেও, মূলত তিনি এই নেটওয়ার্ক সামলাতেন নালন্দা থেকেই। দেশের কোনও না কোনও রাজ্যে মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করতেন প্রশ্নফাঁসের এই ‘মুখিয়া’। তাঁর যোগাযোগ ছিল উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত-সহ বেশ কিছু রাজ্যে। সিবিআই ইতিমধ্যেই ছয় রাজ্যে সঞ্জীবের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ধৃত রবি অত্রির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে সঞ্জীবের। সিবিআই সূত্রে খবর, কোন কোন রাজ্যে, কোন কোন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে এই চক্র, সঞ্জীবকে ধরতে পারলেই তা জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।নিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে গ্রেফতারির সংখ্যা ৩৩। তার মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সাত জন।