Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Electoral Bonds

নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশ, সোমে স্টেট ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত দু’টি মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘ক্ষতিকারক’ বলে আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এসবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে যেন ওই বন্ড দেওয়া বন্ধ করে তারা।

Supreme Court will hear two petitions on Electoral Bond on Monday

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৮
Share: Save:

নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশ নিয়ে সোমবার দু’টি আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বন্ড সংক্রান্ত তথ্যপ্রকাশের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)। সোমবার এসবিআই-এর সেই আর্জি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

তা ছাড়াও এসবিআই-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে আরও একটি আর্জি জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছে। সেটিও সোমবার শুনবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দু’টি আর্জিই শুনবে শীর্ষ আদালত।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘ক্ষতিকারক’ বলে আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এসবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে যেন ওই বন্ড দেওয়া বন্ধ করে তারা। এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয়, ২০১৯-এর ১২ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য ৬ মার্চের মধ্যে আদালতের কাছে তুলে দেবে এসবিআই।

বিরোধী শিবিরের আশা ছিল, গত ছ’বছরে বিজেপি কোন কর্পোরেট সংস্থার থেকে কত টাকা পেয়েছে, এতে তা প্রকাশ্যে আসবে। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩-এর মধ্যে ছ’বছরে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছিল। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৬৫৬৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৩৫ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেস ১০৯৬ কোটি টাকা পেয়েছিল। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদীর জমানায় পরিচয় এবং অর্থের অঙ্ক গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছিল নির্বাচনী বন্ডে। সেই ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এসবিআই। কথা ছিল, কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, স্টেট ব্যাঙ্কের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অর্থের অঙ্কের বন্ড কিনে সংশ্লিষ্ট দলকে দেবেন। সেই অর্থ ভাঙিয়ে নেবে রাজনৈতিক দলগুলি। মূলত কালো টাকার লেনদেন রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল মোদী সরকার।

কিন্তু গত সোমবার এসবিআই শীর্ষ আদালতে জানায়, রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দানকারীদের তথ্য সুরক্ষিত করার জন্য গৃহীত কঠোর সাধারণ কার্যপদ্ধতির (এসওপি) কারণে ‘ডেটা ডিকোড’ বা তথ্য পুনরুদ্ধার করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই এর জন্য আরও সময় প্রয়োজন। যদিও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর মতো অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলির অভিযোগ, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অবমাননা করছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy