— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দূষণে ধুঁকছে দিল্লি। সেই নিয়ে একের পর এক মামলা শুনছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার দিল্লি এবং পঞ্জাব সরকারকে কড়া কথা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট। জানাল, কৃষকদের দোষ দেওয়ার পরিবর্তে তাঁদের সাহায্য করা উচিত। দিল্লি-মিরাট রিজিওনাল র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট নিয়েও শীর্ষ আদালত কটাক্ষ করেছে দিল্লি সরকারকে।
মঙ্গলবার বিচারপতি এস ধুলিয়া এবং বিচারপতি এসকে কৌলের বেঞ্চ রীতিমতো ধমক দিয়েছে পঞ্জাব এবং দিল্লিকে, যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। এই দুই রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোর কারণে দিল্লিতে বেড়েছে দূষণ। বন্ধ রাখা হয়েছিল স্কুল, কলেজ, দফতর। এই প্রসঙ্গে বেঞ্চ বলেছে, ‘‘ছ’বছরে এটাই সব থেকে দূষিত নভেম্বর। সমস্যাটা পরিচিত এবং এটা নিয়ন্ত্রণ করা আপনাদের কাজ।’’ এর পরেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চ বলে, ‘‘ফসল পোড়ানো নিয়ে কৃষকদের ভিলেন করা হচ্ছে। তাঁদের কথাও শোনা হচ্ছে না। ফসল পোড়ানোর জন্য নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে।’’ এই শুনানিতে কৃষকদের অভিযুক্ত করা হলেও তাঁদের পক্ষে কেউ সওয়াল করছেন না। এই বিষয়টিও তুলে ধরেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের পরামর্শ, হরিয়ানায় যেমন ফসল পোড়ানো বন্ধ করার জন্য কৃষকদের অনুদান (ইনসেনটিভ) দেওয়া হচ্ছে, তেমন দিল্লি এবং পঞ্জাবেও দেওয়া হোক। গরিব কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির খরচও রাজ্য সরকারেরই বহন করা উচিত বলে পঞ্জাব সরকারকে জানিয়েছে কোর্ট।
দিল্লি-মিরাট রিজিওনাল র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট (আরআরটিএস)-এ অনুদান দিতে দেরি করার জন্য মঙ্গলবার দিল্লি সরকারকে ফের একহাত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চ বলে, ‘‘আপনারা আমাদের নির্দেশ মানেননি। আমাদের অন্য কোনও উপায় নেই। যা বলবেন, সব মেনে নেব ভাববেন না।’’ এর আগে জুলাইয়ে দিল্লি সরকারকে একই কারণে ধমক দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি-মিরাট রিজিওনাল র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট তৈরি হলে দিল্লির সঙ্গে আশপাশের রাজ্যের সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। যদিও দিল্লি সরকার জানিয়েছিল, এই জন্য প্রয়োজনীয় ৪১৫ কোটি টাকা তারা দিতে পারবে না। তার পরেই আগের তিন বছরে বিজ্ঞাপনে কত খরচ করেছে কেজরীওয়াল সরকার, তা জানতে চেয়েছিল সু্প্রিম কোর্ট। হুঁশিয়ারি দেয়, দিল্লি সরকার পরিবহণের জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা দিতে না পারলে বিজ্ঞাপনে বরাদ্দ থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। এ বার সেই কথাই ফের মনে করিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy