Advertisement
E-Paper

এফআইআর ছাড়া সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে কি ইডি? খতিয়ে দেখবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি

আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের একটি অংশকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই আইনের দু’টি উপধারার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাখ্যা থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

ইডি এফআইআর ছাড়া সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

ইডি এফআইআর ছাড়া সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪২
Share
Save

এফআইআর ছাড়া কি কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)? বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন (পিএমএলএ)-এর পঞ্চম ধারার দু’টি উপধারাকে নিয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই দু’টি উপধারাকে কী ভাবে ব্যাখ্যা করা হবে, তা বিবেচনা করে দেখতে পারে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই দু’টি উপধারার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন। তামিলনাড়ুর বেআইনি বালি খাদান সংক্রান্ত একটি মামলায় মাদ্রাজ হাই কোর্ট ইডিকে এক ঠিকাদারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা থেকে বিরত রাখে। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার ওই মামলায় সব পক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে হাই কোর্টের রায়ের উপর এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

ইডির তরফে সোমবার শীর্ষ আদালতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আইনের ওই দু’টি উপধারার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাখ্যা প্রয়োজন রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের পঞ্চম ধারায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। প্রথম উপধারায় বলা হয়েছে, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য এফআইআর প্রয়োজন। অন্যটিতে বলা হয়েছে, ইডি আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করলে এফআইআর ছাড়াও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই দু’টি উপধারার ব্যাখ্যা কী ভাবে করা হবে, তা নিয়ে মামলায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে শীর্ষ আদালত। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে।

এর আগে মাদ্রাজ হাই কোর্ট ওই ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পদক্ষেপকে খারিজ করে দেয়। কারণ হিসাবে আদালত জানায়, আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় অবৈধ বালি খাদানের অভিযোগ তালিকাভুক্ত নয়। অভিযুক্ত ঠিকাদারের পক্ষে সোমবার শীর্ষ আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তাঁর বক্তব্য, ইডি নিজের এক্তিয়ার পার করার চেষ্টা করেছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলার সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে হাই কোর্টের রায়ের উপর এখনই কোনও পদক্ষেপ করছে না শীর্ষ আদালত।

Enforcement Directorate ED Supreme Court

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}