—ফাইল চিত্র।
ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে এতটুকুও সরতে রাজি হননি আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। রাজি হননি আদালতের সামনে ক্ষমা চাইতেও। এমন পরিস্থিতিতে আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, সোমবারই তার জবাব মিলবে। আদালত অবমাননা মামলায় ওই দিন প্রশান্ত ভূষণকে নিয়ে রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট।
‘তহেলকা’র সাংবাদিক তরুণ তেজপালকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিচারপতিদের সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য নিয়ে ২০০৯ সালের একটি মামলা দায়ের হয় প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে বিচারপতিদের নিয়ে সম্প্রতি দু’টি টুইটের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে শীর্ষ আদালত। দ্বিতীয় মামলাটিতে গত ১৪ অগস্ট দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে তাঁর কী শাস্তি হওয়া উচিত, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি আদালত।
এর আগে, প্রশান্ত ভূষণকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি পাল্টা যুক্তি দেন যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকারেরই তিনি টুইটে নিজের কথা বলেছেন। এর ফলে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা পড়েনি, আদালতের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়নি। তাই নিজের বক্তব্য থেকে সরবেন না।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি সারা, পুজোর আগেই কি চলবে মেট্রো-লোকাল? রেলকে চিঠি রাজ্যের
আরও পড়ুন: বকেয়া জিএসটি মিটিয়ে দেওয়া হবে, চিঠি লিখে রাজ্যগুলিকে জানাল কেন্দ্র
এর পর বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন প্রশান্ত ভূষণের আইনজীবী রাজীব ধবন বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টকে সমালোচনা শুনতে হবে। শুধু সমালোচনাই নয়, চূড়ান্ত সমালোচনা। কারণ, শীর্ষ আদালতের কাঁধ অনেক চওড়া।’’ প্রশান্ত ভূষণকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলে আদালতে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালও। তার পর প্রশান্ত ভূষণকে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলে আদালত। কিন্তু তাতেও রাজি হননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy