Supreme Court of India.
তফসিলি জাতি ও জনজাতি (নির্যাতন প্রতিরোধী) আইনকে লঘু করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বুধবার তুলোধোনা করল সর্বোচ্চ আদালতই। ওই রায় সংবিধানের মূল সুরের পরিপন্থী বলে বর্ণনা করে বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি বি আর গাভানির বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, ‘স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও আমরা তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষদের প্রতি ‘বৈষম্য’ এবং ‘অস্পৃশ্যতা’ দূর করতে পারিনি।’ ২০১৮-র ২০ মার্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে এ দিন তিন বিচারপতির বেঞ্চ কোনও রায় না-দিলেও সমালোচনায় ফালাফালা করেছে ওই রায়কে।
হাতে করে পয়ঃপ্রণালী পরিষ্কারের পদ্ধতি এখনও কেন চালু রয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘কাদের এ ভাবে গ্যাস চেম্বারে পাঠানো হয়? তাঁরা তো তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষই। কোনও দেশে মানুষকে জেনে-শুনে গ্যাস চেম্বারে পাঠানো হয় না।’’ গত বছরের ওই রায়ের পরে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আন্দোলনে নামেন তফসিলি ও দলিতেরা। চাপে পড়ে সেই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মামলা করে কেন্দ্র। ১৮ মাস আগে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট মামলা শোনার জন্য তিন বিচারপতির এই বেঞ্চ গড়ে দেন। বিচারপতিরা এ দিন শুনানির পরে রায়দান স্থগিত রাখলেও তফসিলিদের স্বার্থরক্ষায় বেশ কিছু ব্যবস্থা প্রণয়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
আগের রায়ে বলা ছিল, এই আইনে কেউ মামলা করতে গেলে পুলিশ আগে তদন্ত করে তার সত্যাসত্য যাচাই করবে। বিচারপতিরা এ দিন বলেন, ‘‘এর মানে কী? কোনও তফসিলি মানুষ এফআইআর করতে গেলে পুলিশ বলবে, আগে আপনার অভিযোগ সত্য কি না, তদন্ত করে দেখব! সাধারণ সম্প্রদায়ের মানুষও তো মিথ্যা এফআইআর করতে পারেন, সেখানে তো প্রশ্ন ছাড়াই অভিযোগ নেওয়া হয়।’’ এ দিন নতুন বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট বাদীপক্ষকে নতুন করে আবেদনের নির্দেশ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy