সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরতদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা বা অনুশাসনের অভাব হলে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে— মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসফ) থেকে বরখাস্ত এক কনস্টেবলের পুনর্নিয়োগ নিয়ে একটি আর্জি শোনার সময় এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন বিচারপতির বেঞ্চ। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, সশস্ত্র বাহিনীতে উর্ধ্বতন আধিকারিকদের নির্দেশ অমান্য করে কাজ না করা ‘ভয়ঙ্কর দুর্ব্যবহারে’র সমান। আদালত আরও জানায়, এমন কারণে কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করাও আবার ‘অতিরিক্ত কড়া দণ্ড’!
২০০০ সালে খারাপ ব্যবহারের জন্য সিআইএসএফের ধানবাদ ইউনিটের এক কনস্টেবল আবরার আলিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ব্যবহারের জন্য একাধিকবার শাস্তি পেলেও আলির কোনও পরিবর্তন হয়নি। চাকরি ফিরে পেতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আলি। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট আলির পক্ষে রায় দেয়। চাকরিতে তাঁকে পুনর্বহাল করার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের যায় সিআইএসএফ। আজ সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সশস্ত্র বাহিনীতে অনুশাসন, নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মন্তব্য করেন বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পাঁচ দিন বাহিনীর নির্দেশ মেনে কাজ না করা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। তবে এ জন্য কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া অত্যধিক কড়া দণ্ড।
আলিকে পুনর্নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে আদালত জানায়, যত দিন আলি পেনশন পাওয়ার সময়সীমা পর্যন্ত না পৌঁছচ্ছেন, তাঁকে চাকরিতে রাখতে হবে। তবে ওই সময় বেতন বা ভাতা তিনি পাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy